হোম খুলনানড়াইল নড়াইলে ন্যায্য দামে সার পাওয়া নিয়ে চাষীরা দুর্ভোগের স্বীকার

নড়াইলে ন্যায্য দামে সার পাওয়া নিয়ে চাষীরা দুর্ভোগের স্বীকার

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 82 ভিউজ

মোস্তফা কামাল, নড়াইল :

চলতি বোরো আবাদের ভরা মৌসুমে নড়াইলে ন্যায্য দামে সার পাওয়া নিয়ে চাষীদের দুর্ভোগের স্বীকার হতে হচ্ছে। এ যেন মরার পরে খাড়ার ঘাঁ ইউরিয়াসহ সব ধরনের সারের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও জেলার অধিকাংশ এলাকায় নানা অজুহাতে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি সার ৩ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কৃষকের। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে নিরুপায় চাষীরা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দামে সারকিটনাশক কিনে চাষাবাদ করতে হিমশিম খাচ্ছে। তবে সারের বাড়তি দাম নেয়ার কথা াশি^কার অস্বীকার করছেন সার ডিলারেরা। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন কৃষি বিভাগ।

বছরজুড়ে ধানের ভালো দামে নড়াইলে চাষীরা লাভের আশায় এবার ব্যাপকভাবে বোরো আবাদে মেতে উঠেছে। গতবারের তুলনায় এবার জেলায় অতিরিক্ত ২হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হবে বলে কৃষি বিভাগ আশা করছে। বর্তমানে বোরো চাষের ভরামৌসুম চলছে। নড়াইলের মাঠে মাঠে বোরো চাষকে ঘিরে চাষীরা চরম ব্যস্ত সময় পার করছে। যথাসমেয় আবাদ শেষ করতে জমি প্রস্তুত, সেচ দিয়ে জমিতে চারা লাগাতে চাষীরা বিরামহীন খেটে চলেছেন। আর এই ভালো ফলনের অপরিহার্য উপাদান রাসয়নিক সার ন্যায্য দামে পাওয়া থেকে চাষীরা বি ত হচ্ছেন । জেলার অধিকাংশ এলাকায় সরকার নির্ধারিত দামে সার না মেলায় স্বস্তি নেই চাষীদের মাঝে। সরকার প্রতিকেজি ইউরিয়াও টিএসপি ২৭ টাকা, এমওপি ২০টাকা ও ডিএপি ২১টাকা দর নির্ধারণ করে দিলেও এসব সার কিনতে ৩ থেকে ৮টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে বলে চাষীরা অভিযোগ করছেন। একদিকে জমিতে সেচ দিতে চড়া দামে ডিজেল কিনতে নাভীশ্বাস উঠছে তার উপর সারের বাড়তি দাম মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে ।

নড়াইল সদরের আউড়িয়া ইউনিয়নের কৃষক পারভেজ মোল্যা বলেন সারের দাম বেশী হলেও কিছুই করার নেই কৃষক মানুষ চাষবাস করেই খেতে হবে। ব্যাপক ভাবে না হোক নিজের পরিবারের জন্য জন্য হলেও কিছু জমি আবাদ করা লাগছে।

বিসিআইসি সার ডিলার মোহাম্মাদ হাফিজুর রহমান মল্লিক সারের বাড়তি দাম নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, কোন ডিলার বাড়তি দাম নিচ্ছেনা । তবে কোন সাবডিলার বাকিতে সার বিক্রি করে বেশী দাম নিতে পারে।

এ বিষয়ে নড়াইল কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক,দীপক কুমার রায় বলেন,উপজেলা কৃষি অফিসার ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন ফিল্ডে কৃষকের সাথে থেকে কাজ করছেন । কোন ভাবেই যাতে সারের ন্যায্য মুল্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারেন সে বিষয়ে মনিটরিং করছেন । সারের অতিরিক্ত দাম নেয়ার কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নেয়া হবে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে চলতি জানুয়ারি মাসে জেলায় বরাদ্দকৃত ইউরিয়ার সারের পরিমান ৩হাজার ৩৯২ মেট্রিকটন টিএসপির ১হাজার ২৭৫ ডিএপি ২হাজার ৮৮২ এবং এমওপি ১হাজার ৭০ মেট্রিকটন। গেল বছর জেলায় ৪৮ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হলেও ৫০হাজার ১৭০ হেক্টরে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন