হোম ঢাকানারায়ণগঞ্জ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গণপিটুনিতে ‘সন্ত্রাসীর’ মৃত্যু

মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গণপিটুনিতে ‘সন্ত্রাসীর’ মৃত্যু

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 106 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে মিলন (৩৫) নামে স্থানীয় সন্ত্রাসী দলের এক সদস্যকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে আটিগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিকেলে সময় সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিহত মিলন ওই এলাকার কাশেম ওরফে চোরা কাশেমের ছেলে। তিনি থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত ডাকাত সর্দার সাহেব আলীর অন্যতম সহযোগী বলে পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে মিলনের নেতৃত্বে আটিগ্রাম এলাকায় একদল সন্ত্রাসী ছিনতাই ও ডাকাতিসহ নানা অপকর্ম করে আসছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিলনের নেতৃত্বে ডাকাত সর্দার সাহেব আলীর ভাই রবিউল, পিয়াস ও জনিসহ ২০-২৫ জনের কিশোর গ্যাং চক্র দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুপরের দিকে এলাকায় মহড়া দেয়। এসময় তারা কয়েকটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তখন মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত’ প্রতিরোধ করার ঘোষণা দিলে এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। এসময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও সন্ত্রাসী বাহিনীর দলনেতা মিলন জনতার হাতে ধরা পড়ে।

এসময় এলাকাবাসী গণপিটুনি দিয়ে মিলনের হাত পা ভেঙে দিলে তিনি আহত অবস্থায় রাস্তায় কাতরাতে থাকে। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ আশংকাজনক অবস্থায় মিলনকে উদ্ধার করে সদর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে ঘটনার পর নিহত মিলন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্য সদস্যদের পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মিলনের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ছিনতাই ডাকাতি ও মাদক ব্যবসা করছে। তারা প্রতিদিন রাতে এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিয়ে মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নেয়। তাদের এসব কর্মকাণ্ডে এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছিল। মিলনকে পিটিয়ে হত্যা করা স্থানীয়দের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন তারা।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর উদ্দিন মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি মিলন নামে এক সন্ত্রাসীকে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকার লোকজন। এতে সে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। মিলন এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। সে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় ডাকাতিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড করে বেড়াতেন। ইতিপূর্বে বিভিন্ন মামলায় পুলিশের হাতে সে গ্রেফতারও হয়েছিল।

এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকুর সিদ্দিক সময় সংবাদকে বলেন, গণপিটুনিতে নিহত মিলনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর নানা অভিযোগ রয়েছে। নিহতের নামে ইতিপূর্বে কোনো মামলা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় তদন্তসহ মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন