হোম জাতীয় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহে মিটার লাগানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী

নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহে মিটার লাগানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 82 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

মাস শেষে পুরো টাকা দিয়েও অনেকে ঠিকমতো গ্যাস পাচ্ছেন না ও গ্যাসের প্রেসার কম জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহে সবার জন্য মিটার লাগানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

রোববার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, গত দুইদিন যাবত গ্যাসের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। শুক্র ও শনিবার মারাত্মক গ্যাস সমস্যা দেখা দিয়েছিল। শুরুতে চট্টগ্রামে এবং পরে ঢাকায়।

গ্যাস সংকটের কারণ হিসেবে নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের দুটি ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ)। একটির কাজ করতে ডকিং করার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। সেটি এ দেশে কাজ শুরুর সময়ে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। দ্বিতীয় এফএসআরইউতেও কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। আপাতত আজকের দিনে আমাদের দুটিই চালু আছে। এরমধ্যে একটি আবার ডকিংয়ে চলে যাবে। তবে যেটি বাইরে থেকে এসেছে, সেটি পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। আমরা আশাবাদী, ঢাকা ও চট্টগ্রামের গ্যাস সমস্যা দুয়েকদিনের মধ্যে আরও ভালো অবস্থায় চলে যাবে। এটি হলো সুখবর।

গ্যাস সংকট নিয়ে তিনি বলেন, এটি আকস্মিক বিষয়। এটি সাময়িক সমস্যা। শীতে গ্যাসে এমনিতেই একটু সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে, বাসাবাড়িতে রান্নাবান্নার জন্য। এ সমস্যাটির সমাধান করার জন্য আমরা এরইমধ্যে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ইন্ট্রোডিউস করেছি। বাংলাদেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ গ্রাহক এলপিজি ব্যবহার করে। অল্পসংখ্যক গ্রাহক বাসাবাড়িতে চুলায় গ্যাস ব্যবহার করেন। এরমধ্যে ঢাকা এবং আশপাশে, ময়মনসিংহের কিছু অংশ ও চট্টগ্রামের কিছু অংশ রয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, শিল্পখাত বাদ দিলে সবমিলিয়ে আমাদের গ্রাহক সংখ্যা ২০ থেকে ২৫ লাখ হতে পারে। এই গ্রাহকদের আমরা ধীরে ধীরে মিটারের আওতায় নিয়ে এসেছি। এরমধ্যে সাড়ে চার লাখ গ্যাস মিটার বসানো হয়েছে। আগামী তিন বছরের মাথায় সবার জন্য গ্যাস মিটার লাগানোই আমাদের লক্ষ্য। বহুদিন যাবত আমরা গ্যাস মিটার বসানো শুরু করার চেষ্টা করেছিলাম। এ জন্য অর্থের প্রয়োজন, সেটিও আমরা পেয়ে গিয়েছি।

এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং জাপান ফাইন্যান্সিং ব্যাংক অর্থায়ন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা অচিরেই টেন্ডার করে কাজ শুরু করব। এরইমধ্যে জালালাবাদে পঞ্চাশ হাজার, কর্ণফুলিতে আড়াই লাখ ও ঢাকায় চার লাখ মিটার বসানোর কাজ শুরু করে দিয়েছি। এই মিটারগুলো বসানো হলে যারা যেভাবে গ্যাস পাবেন, সেভাবেই বিল হবে। এখন যা হচ্ছে, মাস শেষে অনেকে টাকা দিচ্ছেন, কিন্তু গ্যাস পাচ্ছেন না।

তিনি আরও বলেন, আমরা অন্তত সাড়ে সাত লাখ অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করেছি। কিন্তু তবুও অবৈধ লাইন রয়েছে। যে কারণে বিরাট অঞ্চলে গ্যাস প্রাপ্তিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা এই লাইন উচ্ছেদের কাজ চলমান রেখেছি।

গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন। আমরা জানি, এটি সাময়িক সমস্যা। আমরা এলপিজির ব্যবহার বাড়াতে চাচ্ছি আমরা। এলপিজি এখন গাড়িতেও ব্যবহার হচ্ছে। পাশাপাশি বাসাবাড়িতেও হচ্ছে। কোনো কোনো সময় কেউ কেউ বলেন, এটির দাম বেশি। আমরা এটিকে ডায়নামিক প্রাইসিংয়ের আন্ডারে নিয়ে গিয়েছি। প্রতি মাসে এলপিজির দাম নির্ভর করে বিশ্ববাজারের দামের ওপর। বিশ্ববাজারে দাম কম হলে এখানেও কম দামে পাওয়া যায়। কিন্তু আপনাদের অনুরোধ করবো, একটু ধৈর্য ধরেন, অচিরেই বাসা-বাড়িতে মিটার লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে, যাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা যায়।

দুই থেকে তিন বছরের মাথায় সব বাড়িতে মিটার বসানো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাঁচ থেকে সাত বছর আগে আমরা জাইকার তহবিল পেয়েছিলাম। এটি চলমান প্রক্রিয়া। এখন আরও ২০ লাখ মিটার লাগাতে হবে। এই প্রকল্পের জন্য আমরা মোটামুটি অর্থের সম্ভাবনা পেয়েছি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন