হোম অর্থ ও বাণিজ্য বাড়ল নীতি সুদহার

বাড়ল নীতি সুদহার

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 68 ভিউজ

বাণিজ্য ডেস্ক:

নীতি সুদহার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭.৭৫ থেকে ৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান গভর্নর।

তিনি বলেন, নীতি সুদহার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে এ হার হবে ৮ শতাংশ। এ ছাড়া বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে আর্থিক খাতের অবস্থা ভালো হবে জানিয়ে গভর্নর বলেন, সরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ৩১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭.৮ শতাংশ করা হয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সদস্যরা। ছবি: মহির মারুফ

দেশে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে দাম নির্ধারণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, এবারের মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্যও মূল্যস্ফীতি প্রশমন করা। মুদ্রানীতির প্রভাব অর্থনীতিতে পড়তে অনেক সময় লেগে যায়। এতে মূল্যস্ফীতি কমতে সময় লেগেছে। তবে নভেম্বর থেকে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, অর্থনীতির ভাষায় ক্রলিং পেগ হলো নিজের দেশের মুদ্রার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি; যেখানে একটি নির্দিষ্ট বিনিময় হারসহ একটি মুদ্রাকে একটি সীমার মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেয়া হয়। অস্থিরতার সময় দেশীয় মুদ্রার মূল্য এবং হারের সীমাও ঘনঘন সমন্বয় করা হয়। এখানে মুদ্রার হারের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা থাকে। ফলে একবারেই খুব বেশি বাড়তে পারবে না, আবার কমতেও পারবে না।

আর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের রিজার্ভ ২৫.৫৬ বিয়িলন ডলার। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী (বিপিএম৬) রিজার্ভ ২০.৩২ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের আমদানি বাবদ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার দায় পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। এতে ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে।

আকু হচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যকার একটি আন্তঃ আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিব্যবস্থা। এর মাধ্যমে এশিয়ার ৯টি দেশের মধ্যে যেসব আমদানি-রফতানি হয়, তা প্রতি দুমাস পরপর নিষ্পত্তি করা হয়। এ ছাড়া অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন