স্পোর্টস ডেস্ক:
পরপর দুইবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এবার দলের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন অপেক্ষায় হ্যাটট্রিক শিরোপার। তবে তার আগে টুর্নামেন্টের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশসেরা এই কোচ। বারবার মালিকানা বদলের কারণে লক্ষ্য নির্ধারণেও সমস্যা হয় দলগুলোর বলে মনে করেন তিনি।
আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিপিএলের দশম আসর। দেশের সর্বোচ্চ এই টুর্নামেন্ট নিয়ে স্বপ্ন দেখছে সাতটি দল। তবে প্রতি বছরেই এই দলগুলোতে দেখা যায় পরিবর্তন। নতুন আসর আসার আগে পুরোনো আসরের অনেক দলেরই মালিকানা বদল হয়। এই বিষয়ে কোনো কথা রাখঢাক রেখে বলতে রাজি নন কোচ সালাউদ্দিন।
এর আগেও অসংখ্যবার গণমাধ্যমের সামনে ভেতরের কথা বলে দিয়েছেন তিনি। তাতে বিপত্তিতেও পড়তে হয়েছে। তবে দেশের ক্রিকেট এবং টুর্নামেন্টের স্বার্থে তিনি সেসব পরোয়া করেননি। এ বছর বিপিএলের পরিকল্পনা এবং ভবিষ্যত নিয়ে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘এত বছরের বিপিএলে একটা-দুইটা দল কোনোরকমে টিকে আছে। বাকিগুলো তো আসে আর যায়। ফ্রাঞ্জাইজিগুলোকে আগ্রহী করে তোলা কঠিন কিছু না। এখন আয়োজকদের ইচ্ছা কী, দৃষ্টিভঙ্গি কী- সেগুলোর ওপরে নির্ভর করে অনেক কিছু।’
বিপিএলকে টিকিয়ে রাখার বিষয়ে কুমিল্লার কোচ বলেন, ‘আপনি তো শুধু শুধু কাউকে টাকা দিবেন না। আপনার যদি ব্যবসা থাকে, সেখানে কাউকে ১০ হাজার টাকা এমনি এমনি দিয়ে দিবেন না। এখানে দান করতে কেউ আসেনি। ইচ্ছা করলে এটিকে লাভজনক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। সেটা কবে হবে, উনারাই (আয়োজক) বলতে পারবেন। অনেক দল আছে, যাদের বিজ্ঞাপন যোগাড় করতে অনেক কষ্ট হয়। আমার মনে হয়, এটা আরও সুন্দরভাবে করা যায়। বিপিএল থেকে বোর্ডও অনেক লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারে, সেইসঙ্গে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোও অনেক লাভ করতে পারে। সবাই কি শুধু বছরের পর বছর টাকা দিয়েই যাবে? আমার তো মনে হয় না।’
এ দিকে বিপিএলের আয়োজন নিয়ে সালাউদ্দিনের মনে ক্ষোভ থাকলেও এটিকেই ভালো একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন তিনি। যেখানে দেশি কোচরা নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পান। এই বিষয়ে দেশসেরা কোচ বলেন, ‘এটি খুবই ভালো দিক যে এরকম একটি বড় জায়গায় কাজ করার সুযোগ হচ্ছে। এখানে তাদের প্রমাণ করার অনেক কিছুই আছে। শুধু কোচ দিলেই হবে না। পুরো দলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারাটা বড় বিষয়। এখানেই কোচরা নিজেদের দক্ষতা, পরিকল্পনা এবং অবস্থান তৈরির ব্যাপারে সুযোগ পান। এটা সামনের দিকে আগানোর জন্য বড় একটি ধাপ। নিজেদেরকে বিশ্বমঞ্চে তোলার জন্য এই ধাপকে কাজে লাগাতে পারেন সকলে। দেশি কোচদের ওপরে বিশ্বাস রাখা হয়েছে, এটি ভালো দিক।’