নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনের মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রলোভনে নারীর অশ্লীল স্থির চিত্র ধারন ও অশ্লীল ভিডিও ধারনের অভিযোগ রয়েছে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়ার ঈদগাহ ময়দান এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এর আগে শহরের নারকেলতলা এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম মারুফ হোসেন বাপ্পী (২৬)। সে সাতক্ষীরা পৌর এলাকার মুনজিতপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের পুত্র।
সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম এলার্ট টিমের এডমিন শেখ মাহবুবুল হক জানান, মারুফ হোসেন বাপ্পী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্রীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতেন। পরে তাদের কাছ থেকে ভিডিও কলে বা হোয়াটসএ্যাপ-ম্যাসেঞ্জার-টেলিগ্রাফে ন্যুড ছবি সংগ্রহ করতেন। সুবিধামতো সময়ে তাদেরকে ছবি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। কখনও কখনও তাদেরকে শয্যাসঙ্গী হতে বাধ্য করতেন। সম্প্রতি দেশের স্বনামধন্য একটি বিশ্বদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী তার খপ্পরে পড়েন। সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই ছাত্রীর পিতা সাতক্ষীরা সদর থানায় প্রতিকার চেয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে মাঠে নামে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃত বাপ্পী ডা. আরমান হোসন নিলয় হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নারীদের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ধারণ করে পরে তাদের সাথে প্রতারণা করতেন। কখনও অর্থ হাতিয়ে নিতেন, আবার কখনও শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করতেন। সম্প্রতি সদর থানায় দায়ের করা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। একাধিক আইডি ও অন্যের নামের মোবাইল সিম ব্যবহার করে তিনি প্রতারণার সম্রাজ্য গড়ে তোলেন। তাকে ধরতে পুলিশ ফাঁদ পাতে। একপর্যায়ে প্রতারণার শিকার জনৈকা নারীর মাধ্যমে বাপ্পীকে উত্তর কাটিয়ার ঈদগাহ ময়দানে ডেকে আনা হয়। পুলিশ সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর তার কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করে তা থেকে একাধিক নারীর অশ্লীল ছবি জব্দ করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় বিশ^বিদ্যালয় পড়–য়া ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত বাপ্পীর বিরুদ্ধে ২০১২ সালে প্রণিত পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১),/৮(৫)(ক) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১২। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে ।