হোম অন্যান্যসারাদেশ স্বামীর পরকীয়ার বলি গৃহবধূ!

স্বামীর পরকীয়ার বলি গৃহবধূ!

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 135 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ স্বামীর পরকীয়া সম্পর্কের জেরে হাফসা আক্তার কাকলী (২৭) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের শিংলাবো গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় নিহতের স্বামী ও শ্বশুর, শাশুড়িসহ ওই পরিবারের পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে নিহত কাকলীর অভিযুক্ত স্বামী সাইফুল ইসলাম শাকিল মোল্লা (৩২) ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।

এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানান, ছয় বছর আগে গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের শিংলাবো গ্রামের আব্দুস ছালাম মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে ভুলতা ইউনিয়নের লাভড়াপাড়া গ্রামের ইসমাঈল মিয়া মামুনের মেয়ে কাকলীর বিয়ে হয়। সাইফুল ও কাকলীর সংসারে সাইফা আক্তার (৫) ও পুত্র আবদুল্লাহ (২) নামে দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছে।

গত এক বছর আগে সাইফুল পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে স্ত্রী কাকলীর সঙ্গে সাইফুলের ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কাকলী তার ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ সময় সাইফুল বাঁধা দিলে কাকলীর সাথে আবারও ঝগড়া হয়।

কাকলীর পরিবারের অভিযোগ, ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী সাইফুল ও তার পরিবারের সদস্যরা কাকলীকে পিটিয়ে জখম করে। এ সময় কাকলীর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে অবস্থার অবনতি হলে রাতে সেখান থেকে কাকলীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে কাকলীর স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। কাকলীর হাত, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের দাগ রয়েছে বলে স্বজনরা জানান।

এ ঘটনায় নিহত কাকলীর বাবা ইসমাঈল মিয়া মামুন বাদী হয়ে কাকলীর স্বামী সাইফুল ইসলাম শাকিল মোল্লা (৩২), শ্বশুর আব্দুল গণি মোল্লা (৫৮), শাশুরী শাহিদা বেগম (৫২), ননদ সিমা বেগম (২৭) ও মামা শ্বশুর মোক্তার হোসেনকে (৪৮) আসামি করে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা সময় সংবাদকে বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলা গ্রহণ করে আমরা ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছি। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন