স্পোর্টস ডেস্ক:
প্রতিবারের মতো এবারও বিজয় দিবসের ঐতিহ্য বজায় রেখে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ। সকাল ১১টায় এই প্রতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল শহীদ মুশতাক একাদশ ও শহীদ জুয়েল একাদশ।
বিজয় দিবসে সাবেক ক্রিকেটারদের পদচারনায় মুখর হয়েছিল মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট। প্রতিবার বিজয় দিবসে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন বিসিবির ঐতিহ্য। দল দুটির নামকরণ করা হয় ক্রিকেট সংগঠক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুশতাক আহমেদ এবং ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য শহীদ ক্রিকেটার আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েলকে স্মরণে। এবারের আয়োজনে ফয়সাল হোসেন ডিকেন্সের অসাধারণ হাফ সেঞ্চুরিতে শহীদ মুশতাক একাদশকে সাত উইকেটে হারিয়েছে শহীদ জুয়েল একাদশ।
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৫ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান সংগ্রহ করে শহীদ মুশতাক একাদশ। দলটির হয়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তুষার ইমরান সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। ২৬ বল খেলে ছয়টি আর ও ১টি ছক্কায় তিনি এই ইনিংস খেলেন।
দেশের ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন অপি ১৪ বলে করেন ২৩ রান। এছাড়া এহসানুল হক সেজান, হাবিবুল বাশার সুমন এবং নিয়ামুর রশিদ রাহুল তিনজনই ১৪ রান করে করেন।
শহীদ জুয়েল একাদশের পক্ষে জাভেদ ওমর বেলিম ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন।
১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শহীদ জুয়েলের শুরুটা ভালো হয়নি। ৬৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। জাভেদ ওমর ৬ বলে ৫, মোহাম্মদ রফিক ১১ বলে ১৮ এবং মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ৮ বলে ৭ রান করেন। এই তিনজনের মধ্যে দুইজনকেই ফেরান আব্দুর রাজ্জাক।
তবে এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় শহীদ জুয়েল একাদশ। ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স ও ডলার মাহমুদ দারুণ জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান। ডিকেন্স ৪৩ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছয়ে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ডলার ১৬ বলে ১টি চার ও ৩টি ছয়ে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত ১ ওভার হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে শহীদ জুয়েল একাদশ। ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে শহীদ জুয়েলের ডিকেন্সের হাতে।
শহীদ জুয়েল একাদশ: জাভেদ ওমর বেলিম, খালেদ মাসুদ পাইলট, মুশফিকুর রহমান বাবু, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আকরাম খান, আনোয়ার হোসেন (উইকেটরক্ষক), খালেদ মাহমুদ সুজন, মোহাম্মদ রফিক, জিএস হাসান তামিম, ডলার মাহমুদ, রবিউল ইসলাম, ফাহিম মুন্তাসির সুমিত, ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স, সাজেদুল ইসলাম, এ এস এম রকিবুল হাসান।
শহীদ মুশতাক একাদশ: মেহরাব হোসেন অপি, তুষার ইমরান, হাবিবুল বাশার সুমন, নিয়ামুর রশিদ রাহুল, সেলিম শাহেদ, মোহাম্মদ সেলিম, মোর্শেদ আলী খান সুমন, হাসানুজ্জামান ঝড়ু, এহসানুল হক সেজান, সাজ্জাদ আহমেদ শিপন, শফিউদ্দীন আহমেদ বাবু, আব্দুর রাজ্জাক, মিজানুর রহমান বাবুল, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মোহম্মদ আলী।