হোম ফিচার সাতক্ষীরায় জলদস্যুতায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে গ্রেফতার-৪, পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরায় জলদস্যুতায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে গ্রেফতার-৪, পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন

কর্তৃক
০ মন্তব্য 114 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরায় পুলিশের অভিযানে জলদস্যুতায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেডে সুন্দরবনের দস্যুতা, অপহরণ, মুক্তিপণ, চাঁদা আদায় ও অর্থনৈতিক অপরাধ সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিংএ সাংবাদিকদের সাথে এ কথা বলেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মামুনুর রহমান ওরফে খোকা বাবু, দেবহাটা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের মহিউদ্দীন গাজীর ছেলে আলাউদ্দীন গাজী, সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার আব্দুল হাকিম গাজীর ছেলে তৈয়েবুর রহমান কামরান ও একই এলাকার মৃত শওকত আলীর ছেলে রহমান এন্টার প্রাইজের মালিক সাইদুর রহমান সাইদ।

তিনি তার লিখিত বক্তব্যে এ সময় বলেন, সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কালিন্দী নদীতে মাছ ধরার সময় গত ২০ জুন ২০২০তারিখে শ্যামনগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের এশার আলী গাজী ও পাশের্খালী গ্রামের আজিবর রহমানসহ ৮/৯ জন জেলেকে মুক্তিপণের দাবীতে অপহরণ করে কতিপয় জলদস্যু। এরপর তাদেরকে সীমান্তবর্তী দেশ ভারতে নিয়ে যায় তারা। অপহরণকারী জলদস্যুরা পরে বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে তাদের দাবীকৃত মুক্তিপণ নিয়ে উক্ত জেলেদেরকে ছেড়ে দেয়।

পুলিশের কাছে এ সংক্রান্ত অভিযোগ আসার পর সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীনের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম উক্ত জলদস্যুদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে। এ সময় জলদস্যুতায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে উক্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে বাংলাদেশী নাগরিক প্রদীপ, পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা এলাকার মিঠুনদাস এবং ভারতের বসিরহাট ত্রিমোহিনী এলাকার আক্তার আলম গাজী, পান্না, বাপ্পী ও ঘোজাডাঙ্গা এলাকার হাসান এন্টার প্রাইজের মালিক নুনু।

তিনি জানান, উক্ত ব্যক্তিরা জলদস্যুদের সাথে সংঘবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবন থেকে জেলেদের অপহরণ করে জোরপূর্বক আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়, মারপিটসহ নানাভাবে তাদেরকে নির্যাতন চালায়। আর অবৈধভাবে অর্জিত তাদের এই অর্থ ভারতে পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৪ জনসহ উক্ত ১০ জনের নামে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই ফরিদ হোসেন বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১৮।

তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীর মধ্যে সাইদুর রহমান সাইদ, অপহৃত এশার আলী ও এ মামলার স্বাক্ষী সৈয়দ হারিজ হোসেন তুহিন ইতিমধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন