হোম জাতীয় টেলিকম অপারেটরের ছেলে এখন টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী

জাতীয় ডেস্ক:

অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব পাওয়ার পর আবেগতাড়িত হয়ে পড়ার কথা জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। কারণ তার বাবা ফয়েজউদ্দিন আহমেদ পেশায় একজন টেলিকম অপারেটর ছিলেন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে দায়িত্বগ্রহণের সময় বাবার সেই স্মৃতির কথা স্মরণ করেন পলক।

তিনি বলেন, যখন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব দেয়ার সুখবরটি দিলেন, তখন নিজেকে আমি ধরে রাখতে পারিনি। আমি ভীষণ আবেগতাড়িত হয়ে যাই। কারণ আমার বাবা একজন টেলিকম অপারেটর ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার বাবা ফয়েজউদ্দিন আহমেদ গ্রামের ছেলে। তিনি চলনবিলের প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নাটোর থেকে গিয়ে বগুড়া আজিজুল হক কলেজে লেখাপড়া করতেন। খুবই অল্পবয়সে এইচএসসি পাস করেন। ধরেন ২২ থেকে ২৩ বছর বয়সে। সেই সময়ে তিনি রাজশাহীতে একটি ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়েছিলেন।’

খুব বেশি ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান না হওয়ায় তার বাবা টেলিফোন এক্সচেঞ্জের অপারেটর পদে চাকরি নিয়েছিলেন উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তিনি দিনাজপুরে গিয়ে চাকরিতে জয়েন করেন। যে কারণে তার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের লেখাপড়া শেষ করা হয়নি। তারপর বদলি হয়ে বগুড়ায় আসেন এবং আমার মায়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর শান্তাহার, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা এক্সচেঞ্জেও তিনি টেলিফোন অপারেটর পদে চাকরি করেন।

১৯৫৭ সালে তার বাবার চাকরি নেয়ার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমি সকালে মাকে জিজ্ঞেসা করেছি, আব্বার বেতন কত ছিল? তিনি বললেন, ১২৫ টাকা। যাই হোক, এসব কারণে টেলিকম খাতের সঙ্গে আমার একটি আবেগের সম্পর্ক রয়েছে। আমি ভাবলাম, আজ আপনাদের সঙ্গে তথ্যটি শেয়ার করি। যেদিন দায়িত্ব নেয়ার খবরটি পাই, মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিলাম। মা মনে করেছিলেন, কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। আমি আসলে আনন্দটা প্রকাশ করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না।

এসময়ে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগে গত ১০ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতার কথাও জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেলিকম খাতও কিন্তু আইসিটিরই একটি সহায়ক বিভাগ এবং একই মন্ত্রণালয়ের আওতায়। ২০১৪ সালে এটি ছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। তারপর সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী এটির নাম দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। তখন দুইটি বিভাগ ও দুইটি মন্ত্রণালয়কে এক করে দেয়া হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন