আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ফ্রান্স। মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে আসাদের বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। একই অভিযোগে আসাদের ভাই মাহের আল-আসাদ ও সিরিয়ার অন্য জ্যেষ্ঠ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) ফ্রান্সের বিচার বিভাগের সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি সংবাদসংস্থা এএফপি।
এক দশকের বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলা সিরিয়ায় ২০১৩ সালে বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে আসাদের বিরুদ্ধে। তবে, বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগেই আসাদের বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ফ্রান্সের বিচার বিভাগের ওই সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগও রয়েছে আসাদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে তাকে সন্দেহও করা হয়। আসাদ বিরোধীরা বলছে, ২০১৩ সালের আগস্টে দামেস্কের কাছে একটি আসাদ বাহিনীর হামলায় অন্তত এক হাজার ৪০০ সিরীয় প্রাণ হারিয়েছিল।
বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে এটাই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা। ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধের সময় সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের বাহিনী দেশটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন-নির্যাতন চালায়। ওই সময় জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সিরিয়ার সরকারি বাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করছে বলে অভিযোগ করেন।
ফ্রান্সের আদালতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা করেছিল সিরিয়ান সেন্টার ফর ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন (এসসিএম) নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও আইনজীবী মাজেন দারউইশ বলেছেন, ২০১৩ সালে ঘৌটায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলার ঘটনা ঘিরে বাশার আল-আসাদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এটাই প্রথম আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা।