হোম খুলনাবাগেরহাট জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে মোংলায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

জলবায়ু পরিবর্তন অভিঘাতে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানে। লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলের ঘরবাড়ী। বেসরকারি হিসেবে ছয় হাজারের মতো মানুষের প্রাণহানী ঘটে। সিডরের তান্ডবতায় বিপর্যস্ত হয় সুন্দরবন। দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে সুন্দরবনের গাছপালা। পানিতে ভাসতে থাকে বাঘ-হরিণসহ বন্যপ্রাণী। তাই পৃথিবীকে বাঁচাতে উষ্ণায়ন রোধে জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত জলবায়ু ন্যায্যতা প্রয়োজন। তাই বুধবার(১৫ নভেম্বর) সকালে মোংলার চিলা পশুর নদীর পাড়ে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা একথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মোংলা এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতি ও প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর কেন্দ্রিয় যুগ্ম সম্পাদক মোঃ নূর আলম শেখ।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাপা নেতা নাজমুল হক, গীতিকার মোল্লা আল মামুন, আব্দুর রশিদ হাওালাদার, মারিয়া মাঝি, ক্রিস্টিনা আদিত্য প্রমূখ। এসময়ে বক্তারা আরো বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ি তথাকথিত উন্নত বিশ্বের কাছে আমরা ঋন চাইনা, ক্ষতিপূরণ চাই। জলবায়ু উষ্ণতা থেকে আমরা বাঁচতে চাই।

এছাড়া প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে বুধবার সকাল ১০ মোংলার দক্ষিণ কাইনমারিতে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও ব্লু প্লানেট ইনিশিয়েটিভ (বিপিআই) এর আয়োজনে উঠানবৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উঠানবৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র সংগঠক জলবায়ুযোদ্ধা কমলা সরকার।

উঠান বৈঠকে বক্তারা উপকূলজুড়ে পরিবেশ ও জনবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান। একই সাথে উপকূলের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানিয়ে উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠনের আহ্বান জানানো হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন