স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর (যশোর) :
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেশবপুর উপজেলার ভান্ডারখোলা গ্রামের ছুরত আলি সরদার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অসহায় বৃদ্ধ ফজলে করিম সরদারের ১০ শতক জমি জবর দখল করে পাকাঘর নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্মাণ কাজ বন্ধে ফজলে করিম সরদার গত ১৮ অক্টোবর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, যশোরে আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে বলা হলেও ২০ অক্টোবর বিকেল ৫টা পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি বলে বাদির অভিযোগ।
জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার ভান্ডারখোলা গ্রামের মোহর আলী সরদারের ৪ ছেলে ২০১৩ সালের জুন মাসে ফজলে করিম ৯৯ শতক, নুর আলী সরদার ৮৭ শতক, ছুরত আলী সরদার ৮৪ শতক ও তোরাপ আলী সরদার ৯০ শতক নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বন্টন করে নেন। ফজলে করিম ভাইদের মধ্যে বন্টনকৃত ৯৯ শতকের মধ্যে মাত্র ৩০ শতক জমি ভোগদখল করেন। বাকি ৬৯ শতক জমির মধ্যে ১০ শতক জমি ছুরত আলী সরদার জবর দখল করে পাকাঘর নির্মাণ করছেন। ছুরত আলী সরদারের দখলে থাকা ওই ১০ শতক জমিসহ মোট ৬৯ শতক জমি উদ্ধারে ইতোপূর্বে স্থানীয়ভাবে, ইউনিয়ন পরিষদ ও কেশবপুর থানায় কয়েক দফা সালিসি বৈঠক হলেও ছুরত আলী তা অমান্য করে জমি দখলে রেখে ঘর নির্মাণ করছেন। উপায়ন্তর না পেয়ে ফজলে করিম সরদার গত ১৮ অক্টোবর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, যশোরে মামলাটি করেন। যার নং- পি- ১১৮৩/২৩।
ছুরত আলী সরদার বলেন, ওয়ারেশ সূত্রে এই জমিতে আমি দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছি। ঘন সংকটে রাস্তা সংলগ্ন জমিতে আমি পাকাঘর নির্মাণ করছি। আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞার নোটিশ পাইনি।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মফিজুর রহমান জানান, ২ মাস আগে তারা ৪ ভাই আমার কাছে এসেছিল। কাগজপত্র দেখে ৪ ভাই ও ১ বোন সমহারে জমি বন্টন করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। আদালতের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্যে নোটিশ করে ২০ অক্টোবরের মধ্যে বিবাদিকে জানানো হবে।