অনলাইন ডেস্ক:
নাটোরের গুরুদাসপুরে একটি পরিবারের একমাত্র যাতায়াত রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিবেশী প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। যার ফলে তিন মাস ধরে বাড়িতে ফিরতে পারছে না ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। বিয়াঘাট ইউনিয়নের শিয়ানপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, আমি পেশায় একজন ছোট ব্যবসায়ী। মধ্যবিত্ত পরিবার। বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তান, দুই ভাইকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিজের পৈত্রিক জায়গায় বসবাস করছি। প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে যে রাস্তা দিয়ে আমি ও আমার পরিবার চলাচল করতাম গত তিন মাস আগে হঠাৎ করেই প্রতিবেশী সাবেক ইউপি সদস্য ফজলু প্রাং রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে আমাদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়। তারপর থেকে কয়েকদিন বাড়িতে আমরা অবরুদ্ধ হয়ে থাকি।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সমাধান করে দিলেও সপ্তাহ খানেক পরে আবার রাস্তা বন্ধ করে দেয়। নিরুপায় হয়ে বাড়ি থেকে ২৫ কিলোমিটার অদূরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছি। কিন্তু আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না। এ কারণে নিজের বাড়িতে ফেরার জন্য অনেক ভাবে প্রতিবেশী ফজলুকে অনুরোধ করি। কিন্তু তারা আমাদের কথার কর্ণপাত না করে বরং আমরা যেন বাড়িতে আর না ফিরতে পারি এবং আমাদের বসতভিটা যেন দখল করতে পারে সেই কারণে তারা আমাদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করেছে। বর্তমানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি আমরা।
সাবেক ইউপি সদস্য ফজলু প্রাং বলেন, আমার জায়গা আমি বন্ধ করেছিলাম। তাদের সাথে আমার পূর্ব বিরোধ রয়েছে। তাই চলাচলের রাস্তা বন্ধ করেছি। বাড়ি ঘর ভাঙচুরের বিষয় সঠিক না।
এ বিষয়ে বিয়াঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সুজা জানান, তিন মাস আগে রাতে অবরুদ্ধ হওয়া পরিবারের বিষয়ে খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে যিনি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তার সাথে কথা বলে বেড়াটি খুলে পরিবারটিকে চলাচলের পরিবেশ করে দেয়া হয়েছিল। মূলত তাদের নিজেদের পূর্ববিরোধের জেরে এ ধরনের কাজ করেছেন সাবেক মেম্বর ফজলু প্রাং। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।