চন্দন চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি :
স্ত্রীর কাছ থেকে ডিভোর্স পাবার ১১দিন পর তাকে গলাকেটে হত্যা করে বাঁশবাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী মাকসুদুল হক সোহান। শালীকে ফোন করে পাষন্ড সোহান বলেছে, ‘তোমার বোন বাগানে আছে’। দুইদিন নিখোঁজ থাকার পর তাসলিমাকে পাওয়া গেলো, তার অর্ধগলিত মরদেহ। আজ বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর এলাকায় ওই বাঁশবাগান থেকেই নিহত তাসলিমা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত তাসলিমা খাতুন(২৫) কামালনগর এলাকার আদম আলী সরকারের কন্যা।
এর আগে গত দুইদিন আগে তাসলিমা খাতুন নিখোঁজ হন বলে জানিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা।
নিহতের মাতা আয়েশা খাতুন জানান, তাসলিমার স্বামী মাকসুদুল হক সোহানের সাথে গত ১১ দিন আগে ডিভোর্স হয়। এর পর থেকে সোহান তাসলিমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিতো। গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যার পর থেকে তাসলিমা নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করা হয়। এরপর আজ বুধবার বিকালে পাশ্ববর্তী একটি বাঁশবাগানে তাসলিমার গলিত মরদেহ দেখেন স্থানীয়রা। ধারনা করা হচ্ছে তাসলিমাকে সোহান হত্যার করে তার লাশটি বাশবাগানে রেখে দিয়েছে।
নিহতের বোন হালিমা খাতুন বলেন, তাসলিমা পূর্বে সোহাগ নামে এক ব্যক্তির সাথে দীর্ঘদিন সংসার করেছে। সেখানে তার একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ২ বছর আগে সোহাগকে ডিভোর্স দেয় তাসলিমা। এরপর মাকসুদুল হক সোহানকে বিয়ে করেন তিনি। সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয় নিয় তাদের দাম্পত্য কলহের জের ধরে কয়েকদিন আগে সোহানকে ডিভোর্স দেয় তাসলিমা। এর পর থেকে সোহান বিভিন্নভাবে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলো। হুমকি দিয়ে মোবাইলে বেশ কয়েকটি মেসেজও পাঠায় সে। ২দিন আগে তাসলিমা নিখোঁজ হবার পর থেকেই তার ২য় স্বামী মাকসুদুল হক সোহান পলাতক রয়েছে।
এদিকে নিহতের স্বামী মাকসুদুল হক সোহানের পিতার নাম মোঃ আসাদুল হক এবং তারাও কামালনগর এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, ঘটনার দিন সোহানের সাথে আরও ২-৩ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে কামালনগর এলাকায় চলাফেরা করতে দেখা গেছে।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের এসপি মীর আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে হত্যাকান্ড ধরে নিয়েই পুলিশ কাজ করছে। মরদেহটি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।