হোম আন্তর্জাতিক সাইফার মামলা: মৃত্যুদণ্ড হতে পারে ইমরান খানের!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সাইফার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই মামলায় ইমরান খান ও কোরেশির মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।

রোববার ( ১ অক্টোবর) দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে সাইফার মামলার বিচারের লক্ষ্যে একটি বিশেষ আদালত গঠিত হয়েছে। এফআইএ-এর কর্মকর্তারা এই আদালতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করে চার্জশিট জমা দিয়েছেন।

ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কোরেশি ছাড়াও এই মামলায় সাবেক মুখ্য সচিব আজম খান, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের সাবেক মহাসচিব আসাদ উমরকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিষয়টির সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র। চার্জশিটে কয়েকজনকে পলাতক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এফআইএ-এর কর্মকর্তারা চার্জশিটে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৫ ও ৯ ধারায় অভিযোগ এনেছে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কিংবা ১৪ বছরে কারাদণ্ড হতে পারে। তবে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ এই চার্জশিটকে অস্বীকার করে বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে।

এদিকে তদন্ত সংস্থা এই মামলায় সব মিলিয়ে ২৭ জনকে সাক্ষী করেছে। তাদের মধ্যে প্রায় সবাইকে এই মামলায় আদালতে এসে সাক্ষ্য দেওয়ানো হবে। এরই মধ্যে মামলার প্রধান সাক্ষী আজম খান ইমরান খানে বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

তিনি দাবি করেছেন, ইমরান খান সে সময়ে পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব থেকে জনসাধারণের মনোযোগ সরানোর জন্য ওই গোপন নথির বিষয়টিকে সামনে এনেছিলেন।

আজম খান বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, ইমরান খান আজম খানকে বলেছিলেন যে—তিনি জনসাধারণের সামনে ওই গোপন নথিটি প্রকাশ করবেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, তিনি ইমরান খানকে সেই নথি দিয়েছিলেন এবং পরে বারবার ফেরত চাইলেও ইমরান খান সেটি ফেরত দেননি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন