হোম আন্তর্জাতিক মালয়েশিয়ায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, দুই রোহিঙ্গা আটক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মালয়েশিয়ায় ১৫ বছর বয়সী একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দেশটিতে থাকা দুই রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) মেলাকার পুলিশ প্রধান দাতুক উইরা জয়নোল সামাহ এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মেলাকা হাসপাতালে পরিচালিত মেডিকেল পরীক্ষায় ভুক্তভোগীর যৌনাঙ্গে শারীরিক আঘাতের লক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একই দিনে পুলিশ দ্রুত ওই দুই রোহিঙ্গা পুরুষকে আটক করে।

পুলিশ জানায়, ওই দিনই স্থানীয় বাতাং তিগা থানায় এই ভয়াবহ ঘটনার প্রাথমিক প্রতিবেদন দায়ের করেন ভুক্তভোগীর ভাই।

ডিসিপি জয়নোল বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ওই রোহিঙ্গার সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব হয় ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীর। প্রথম সন্দেহভাজনদের একজন ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টার দিকে কিশোরীকে মোটরসাইকেলে করে ক্লেবাংয়ের একটি রেস্টুরেন্টে ২৭ বছর বয়সী আরেক রোহিঙ্গা শরণার্থীর সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দেয়।

এরপর সেখান থেকে কিশোরীকে তাদের একটি প্রোটন প্রাইভেট কারে করে নিকটবর্তী একটি সমুদ্র সৈকতের পাশে নিয়ে যায় এবং সেখানে প্রাইভেট কারের ভেতরেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে দুই রোহিঙ্গা শরণার্থী। এরপর ওই দিনই মেয়েটিকে বাতু বেরেন্ডামের একটি পরিত্যক্ত খেলার মাঠে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে তাকে ফেলে রেখে চলে যায় ওই দুই রোহিঙ্গা শরণার্থী।

পরে ১৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে বাতু বেরেন্ডামের পরিত্যক্ত খেলার মাঠে ঘোরাফেরা করার সময় কিশোরীর ভাইয়ের সহপাঠীরা তাকে দেখতে পেয়ে বিষয়টি তার ভাইকে অবগত করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর তার বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের ২২ বছর বয়সী বড় ভাই।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ একই দিনে সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করে এবং তদন্তের সুবিধার্থে তাদের সাতদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তারা দুজনই জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) কার্ডধারী।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন