বিশেষ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় পাওনা টাকা চাওয়ায় মুদি দোকানে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলা ঠেকাতে গিয়ে অমিত সরকার( ২১) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের সোনাই গ্রামে অনিল পাড়ুই নামে এক যুবকের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত যুবককে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মুদি দোকানি রায়মোহন মন্ডল ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আশাশুনি থানায় এজাহার দায়ের করার দুইঘন্টার ব্যবধানে দুজন আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত প্রধান আসামী অনিল পাড়ুই এখনও পলাতক রয়েছে।
আটককৃতরা হলো- টেংরাখালী এলাকার ভদ্রকান্ত সরকারের ছেলে সৌরভ সরকার(২২) ও একই এলাকার মিজানুর রহমান মন্টুর ছেলে মাহিম সানা(২২)।
এজাহারে বলা হয়, সোনাই গ্রামে পার্শ্ববর্তী এলাকার অনিল পাড়ুই(২৫) নামের এক যুবক প্রায়ই রায়মোহনের দোকান থেকে বাকিতে জিনিসপত্র নিতেন। এভাবে তার কাছে মোট ২৬৫০ টাকা পাওনা হয়। রায়মোহন সেই টাকা চাওয়ায় আসামী তা না দিয়ে বিভিন্নভাবে টালবাহানা করে আসছিলো। বেশ কিছুদিন পর পুনরায় টাকা চাওয়ায় গতকাল অনিল পাড়ুই তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে তার দোকানে হামলা চালায়। এসময় রায়মোহন দোকানে না থাকায় তার স্ত্রী রত্না রানী মন্ডলকে তারা বেধড়ক মারপিট করে ও তার গলায় থানা ১ ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসীদের বাধা দিতে গেলে তারা অমিত সরকার নামের এক যুবককে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এরপর দোকানে থাকা টিভি, ফ্রিজ সহ বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে এবং চলে যাবার সময় দোকানের ক্যাশবাক্সে থাকা নগদ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। এতে মোট আড়াই লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়েছে।
হামলার শিকার হওয়া রত্না রানী মন্ডল বলেন, হামলাকারীরা দোকানে ভাংচুর চালানোর সময় প্রতিবাদ করতে গেলে তার শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছে। পরে দোকান থেকে নগদ টাকা সহ তার গলার চেইন জোর করে ছিনিয়ে নিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কৃষ্ণপদ মন্ডল বলেন, সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। বাধা দিতে গেলে তারা অমিত সরকার নামে এক নিরীহ যুবককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে। এলাকাবাসী তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও ধারালো অস্ত্র থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বিশ্বজিৎ অধিকারী বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী দোকানদার রায়মোহন মন্ডল বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছেন। মাত্র দুইঘন্টার ব্যবধানে দুজন আসামীকে আটক করা হয়েছে। তবে মূল আসামী অনিল পাড়ুই ও তার সহযোগীরা এখনও পলাতক রয়েছে। তাদেরকেও আটকের চেষ্টা চলছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট