জাতীয় ডেস্ক:
চট্টগ্রামে রাউজানে থেকে অপহৃত কিশোর শিবলি সাদিক হৃদয়ের (২০) কংকাল উদ্ধার করতে যায় পুলিশ। সঙ্গে উমংচিং মারমা (২৬) নামে এক আসামিও। এ সময় এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে পুলিশের কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে নেয়। পরে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে ফেলে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কদলপুর-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা থেকে শিবলি সাদিক হৃদয়ের (২০) খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের সময় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ২৮ আগস্ট উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের পাহাড় সংলগ্ন একটি মুরগীর খামার থেকে নিখোঁজ হন কলেজছাত্র শিবলি। শিবলি ওই পোল্ট্রি খামারে ম্যানেজারের কাজ করতেন। একই খামারে তার সঙ্গে কয়েকজন আদিবাসীও কাজ করতেন। তাদের মধ্যে বিরোধের কারণে অপহরণের ঘটনা ঘটে।
শিবলির পরিবার জানায়, গত দুই মাস আগে সেখানে কাজ করা আদিবাসী যুবকদের সঙ্গে শিবলির বিরোধ হয়। পরে মালিকের উদ্যোগে তাদের মিলিয়ে দেয়া হয়েছে। তার ঠিক দুই মাস পর অপহরণ হলেন শিবলি। এরপর অপহরণকারীদের দাবি অনুসারে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছিলেন সাদিকের বাবা। কিন্তু ১৩ দিন পর উদ্ধার হলো মরদেহ।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর সাদিকের মা বাদী হয়ে রাউজান থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অজ্ঞাতসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন, উমংচিং মারমা (২৬), সুইচিংমং মারমা (২৫), অংথুইমং মারমা (২৫), উক্যাথোয়াই মারমাসহ ৬ জন।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, প্রায় ৩ ঘণ্টা হেঁটে দুর্গম কদলপুর-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত হৃদয়ের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই অপহরণের ঘটনায় কয়েকদিন আগে দুইজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। রোববার উমংচিং মারমা নামে আরও একজনকে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে সোমবার ভোরে অভিযানে যায় পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ফেরার পথে পঞ্চপাড়া গ্রামবাসী অবরোধ সৃষ্টি করে। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি থেকে অভিযুক্ত উমংচিং মারমাকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। এ সময় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।