বাণিজ্য ডেস্ক:
পেঁয়াজ রফতানিতে শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। তবে বাংলাদেশের পেঁয়াজের দামে এর প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
রোববার (২০ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে নবনির্মিত তুলা উন্নয়ন বোর্ড এর কার্যালয় তুলাভবন উদ্বোধন ও দেশে প্রথমবারের মতো বিটি তুলার জাতের অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলে তিনি।
ভারতে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ রফতানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে দেশটির সরকার। বাংলাদেশ ভারতীয় পেঁয়াজের অন্যতম আমদানিকারক হওয়ায় দেশের বাজারেও এর প্রভাব দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে পেঁয়াজ রফতানিতে ভারত শুল্ক আরোপ করায় বাংলাদেশের জন্য ভয়ের কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হলেও, এখন পর্যন্ত দেশে এসেছে মাত্র তিন লাখ টন। এতে পেঁয়াজের এতই সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এতদিন চুপ করে বসে থাকত না।
এছাড়া দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অঞ্চল ফরিদপুর, পাবনার কৃষকদের কাছে যথেষ্ট পেঁয়াজের মজুত আছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেও দেশে দামে তেমন প্রভাব পড়বে না।
এ সময় পেঁয়াজ রফতানি একেবারে নিষিদ্ধ না করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ভারত সফরে গিয়ে সেদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরেছি। তবে ভারতের নিজেদের দেশে সংকট দেখা দেয়ায় তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুধু ভারতই নয়; প্রয়োজনে তুরস্ক, মিসর ও চীন থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। পাশাপাশি দেশে সারের কোনো সংকট হবে না উল্লেখ করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে গত ১৪ বছরে দেশে সারের কোনো সংকট হয়নি, সামনেও হবে না।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিটমেন্ট রয়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আগে কৃষি; তারপর অন্য কিছু। কৃষিতে ভর্তুকি দেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কোনো কার্পণ্য নেই।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফখরে আলম ইবনে তাবিব, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।