জাতীয় ডেস্ক:
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই সাহসী ও নির্ভীক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন সেই চেতনা বাস্তবায়নে শেখ কামাল সোচ্চার ছিলেন।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর টিসিবি ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, শেখ কামাল ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, অসীম সাহসী, দেশপ্রেমিক এবং অন্যতম সংগঠক। রাষ্ট্রনায়কের ছেলে হওয়া সত্ত্বেও তার কোনো অহংকারবোধ ছিলো না। খুব সহজেই মানুষকে আপন করে নেয়ার গুণাবলী ছিল তার মধ্যে। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কাজকর্মে যুক্ত থাকতে স্বচ্ছন্দ বোধ করতেন তিনি। ক্ষমতার প্রতি তার কোনো মোহ ছিল না।
নিজেকে শেখ কামালের একজন সহযোদ্ধা উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, পুরো ঢাকা বিভাগের ছাত্রলীগকে সামলাতেন শেখ কামাল। ছাত্রলীগের সভাপতি বানিয়েছিলেন আমাকে। ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায্যতার পক্ষে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন এবং আজীবন সত্য ও ন্যায়ের পথে ছিলেন।
শেখ কামালের সাথে তার বিভিন্ন সময়ের স্মৃতিচারণ করে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, একটা সময় জাতির পিতার সাথে সাক্ষাৎ করতে পারছিলাম। পরে শেখ কামালকে কথাটা জানালে বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করার ব্যবস্থা করে দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় একই স্থানে ভারতে প্রশিক্ষণ নেয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি তার প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলা উৎসাহী ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত আবাহনী ক্রীড়াচক্র দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে বিপ্লবের জন্ম দেয়। খেলাধুলার পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চা ছাড়াও অসাধারণ নেতৃত্বের ক্ষমতা ও বহুমুখী গুণাবলীর প্রতিভার অধিকারী অনন্য সংগঠক ছিলেন।
টিপু মুনশি আরও বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি প্রতিশোধ নিতেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। তারা বুঝতে পেরেছিল পরিবারের কেউ বেঁচে থাকলে আবার দেশের মানুষ তাদের নেতৃতে সংগঠিত হবে। কিন্তু তারা সফল হতে পারিনি।
সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনিস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জাফর উদ্দীন, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেইয়ারম্যান এএইচএম আহসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান, যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতরের নিবন্ধক শেখ শোয়েবুল আলম এনডিসি এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান পিএসসি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব মালেকা খায়রুন্নেছা।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দফতর সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে আবাহনী মাঠে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সকল স্তরের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
