জাতীয় ডেস্ক:
বাংলাদেশ-ভারত স্টাটআপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এবং ভার্চুয়াল পোর্টাল ‘ব্রিজ’-এর কার্যক্রম ও সুযোগ আরও বাড়াতে ১২টি ভারতীয় স্টাটআপ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শনিবার (২৯ জুলাই) হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশ স্টাটআপ সামিট ২০২৩’-এর উদ্বোধন শেষে এ বৈঠক হয়।
অনুষ্ঠানে ভারতের প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের সিইও সাহিল জাগনানি, ইনোভেশন লার্নিং সল্যুশনস সিইও তারাঞ্জিত সিং, ট্রিস্টল ল্যাব-এর মার্কেটিং লিড শিভানি ত্রিবেদী, জীবিকা হেলথ কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা জিগনেস প্যাটেল, নেক্স স্কিল ৩৬০ প্রতিষ্ঠাতা সুরাজ মিয়ার, জাস্ট ইলেকট্রিকের সিএমও অনিরুধ বাপট, গোহেম্প অ্যাগ্রোভেঞ্চার্স সহ-প্রতিষ্ঠাতা গৌরব দীক্ষিত, অ্যাটম অ্যালোয় ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের সিটিও বিনোদ মেনন এবং রিভ্যাম্প মোটরের হেড অব পার্টনারশিপ রিধি মহাজন তাদের উদ্ভাবনগুলো উপস্থাপন করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, পিচিং শুনে ভারতীয় সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের সমগোত্রীয় স্টার্টআপগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধে উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। আমাদের স্টার্টআপ কমিউনিটির যৌথ প্রচেষ্টায় দুই দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়বে। এটা একটি দারুণ উদ্যোগ। স্টার্টআপ সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পাওয়া আমাদের জন্য বোনাস। আমাদের নতুন ধারণা অনুযায়ী আমরা উভয় দেশ একসঙ্গে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে একসঙ্গে এগিয়ে যাব।’
সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন শতাধিক গ্লোবাল ভিসি/বিনিয়োগকারী, জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বক্তা এবং ছয় শতাধিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান। দুদিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৪০টি বিভিন্ন সেশন। উদ্বোধনের পর প্রথম দিনই হয়েছে ১৯টি সেশন। দ্বিতীয় দিনে সমাপনী বাদে হবে ২১টি সেশন।
বৈঠকে আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, ভারতের ডিপিআইআইটির পরিচালক সুমিত কুমার জারাঙ্গাল ও স্টার্টআপ ইন্ডিয়ার ম্যানেজার প্রাভলিন কুমার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।