হোম জাতীয় কিশোরীকে তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ

জাতীয় ডেস্ক:

মাদারীপুরে গুচ্ছগ্রামের এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক বখাটের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার
শুক্রবার (৭ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পুলিশ বলছে, অভিযুক্তকে ধরতে মাঠে কাজ করছে একাধিক টিম।

হাসাপাতলে সরেজমিনে দেখা যায়, মা হারা মেয়েটি যেখানে হাসিখুশি মনে বাড়িতে থাকার কথা, সেখানে ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে এখন ভর্তি হাসপাতালে। অসহায় ভ্যানচালক বাবাও জীবিকার তাগিদে বাহিরে।

স্বজনরা জানায়, মাদারীপুর সদরের একটি গুচ্ছগ্রামে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করে ওই কিশোরী। শুক্রবার দুপুরে ৪ বছরের চাচাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সে। পথে ছিলারচর এলাকার শওকত তস্তার নামে এক বখাটে কিশোরীর পথ রোধ করে। পরে মুখ চেপে হাত-পা বেঁধে পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত শওকত। পরে নির্যাতিতা বাড়িতে এসে স্বজনদের বিষয়টি জানালে পরিবারের লোকজন রাতে মেয়েটিকে ভর্তি করে জেলা সদর হাসপাতালে।

নির্যাতিতা মেয়েটি সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে শওকত। একটি পুকুরপাড়ের নির্জন বাগানে নিয়ে গিয়ে সে এই কাজ করে। আমি এর বিচার চাই।’

মেয়েটির দাদি বলেন, ‘আমার নাতনীর যে সর্বনাশ করেছে তার উপযুক্ত বিচার চাই। শওকতের বিচার না হলে এমন অপরাধ আরও বেড়েই যাবে। তাই দ্রুত এর বিচার হওয়া দরকার।’

মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ও জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনীর আহম্মেদ খান সময় সংবাদকে জানান, ধর্ষণের অভিযোগে ভর্তি হওয়া মেয়েটির নিবিড় পর্যবেক্ষণে চলছে চিকিৎসা। মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গাইনি চিকিৎসক তাকে দেখ ভাল করছে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী সময় সংবাদকে জানান, অভিযুক্ত শওকত ছিলারচর গ্রামের জলিল তস্তারের ছেলে। সে রাজধানী ঢাকায় একটি কারখানায় দর্জির কাজ করেন। এরইমধ্যে অভিযুক্ত শওকতকে ধরতে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন