টাকা নিয়েও শো না করার মতো প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল জামিন পেয়েছেন। মতিঝিল থানায় করা প্রতারণার মামলার বাদীকে টাকা বুঝিয়ে দিয়ে আপস করেন তিনি। পরে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় নোবেলকে জামিন দেন আদালত।
নোবেলের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রিমান্ড শেষে সোমবার (২২ মে) নোবেলকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক হুমায়ুন কবির তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে তার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। এ সময় মামলার বাদী সাফায়েত ইসলামও আাদলতে উপস্থিত ছিলেন।
পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত নোবেলের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত শনিবার (২০ মে) আদালত জামিন না দিয়ে নোবেলের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবির এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে নিজের সব দোষ স্বীকার করেন নোবেল। রোববার (২১ মে) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, একদিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর নোবেল তার সব দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। একইসঙ্গে নিজের স্ত্রীর ওপর করা নির্যাতন এবং টাকা নিয়েও বিভিন্ন শোতে অংশ না নেয়ার ঘটনায় দোষ স্বীকারের পাশাপাশি অনুতাপ প্রকাশ করেছেন নোবেল।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ১৭ মে আদালত এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ৯ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এজাহারে বলা হয়, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর প্রথম পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার চুক্তি করা হয়। পরে নোবেলকে বিভিন্ন সময়ে মোট ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা দেয়া হয়। তবে নোবেল অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণা করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন।
প্রতারণার অভিযোগে গত ১৬ মে রাজধানীর মতিঝিল থানায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরদিন ১৭ মে আদালত এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে ৯ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।