হোম আন্তর্জাতিক নির্বাচনের দুই সপ্তাহে আগে মা হলেন থাই প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হতে বাকি মাত্র দুই সপ্তাহ। ইতোমধ্যে নির্বাচন নিয়ে দেশটির নির্বাচন কমিশনের কাজ প্রায় শেষ। প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীরা। তবে, এরই মধ্যে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক নারী প্রার্থী। ঘটনাটি থাইল্যান্ডের। আজ সোমবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

লন্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি বলছে, থাইল্যান্ডের নেতৃস্থানীয় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী পায়েটংটার্ন সিনাওয়াত্রা আজ একজন ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। নির্বাচনের ঠিক দুই সপ্তাহ আগে আজ মা হন ৩৬ বছর বয়সী এই নারী। এই প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর আশা, তার বাবা ও ফুফুর মতো নির্বাচনে জয়ী হবেন তিনি।

পায়েটংটার্ন সিনাওয়াত্রার বাবা ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রা। নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এলেও সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান তিনি। একই অবস্থা হয়েছিল পায়েটংটার্নের ফুফু ইংলাকের সঙ্গে।

শিশু সন্তানের জন্মের বিষয়টি নিশ্চিত করে মেটার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্ট্রাগ্রামের ভেরিফোয়েড অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়েছেন পায়েটংটার্ন। ওই পোস্টে নবজাতকের ছবি সংযুক্ত করে দিয়েছেন এই নারী প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী। পোস্টটি তিনি এমনভাবে লেখেন যে, তার সন্তান বলছে। সেখানে লেখা হয়, ‘হাই, আমার নাম প্রুত্তাসিন সকসাওয়াস। আপনাদের সবাইকে সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানায়। অপেক্ষা করেন, আমার মায়ের সুস্থতার জন্য, এরপর আমি গণমাধ্যমের সামনে আসব।’

রয়টার্স বলছে, আগামী ১৪ মে’র থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে। এই নির্বাচনের আগের জরিপে শীর্ষ এক বা দুইয়ে রয়েছেন পায়েটংটার্ন, যিনি কি না থাইল্যান্ডে উং ইং নামে পরিচিত।

এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সন্তানের জন্ম দিয়েছেন পায়েটংটার্ন। গর্ভাবস্থায় থাকলেও নির্বাচনের প্রচারে পিছিয়ে নেই তিনি।

সিনাওয়াত্রা পরিবার থাইল্যান্ডে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। এমনকি, তাদের রাজনৈতিক দলেরও জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে। এই নির্বাচনে জিতে ফের দলটি ক্ষমতায় আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি সময়ে নির্বাচন পূর্ববর্তী জরিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে থাইল্যান্ডের প্রধান বিরোধীদল ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চ্যান-ওচা ও তার রাজনৈতিক দলের জন্য হুমকি হয়ে রয়েছে। নির্বাচনে জিততে পারে পায়েটংটার্নের দল, যারা কি-না ২০১৪ সালে ক্যু এর মাধ্যমে ক্ষমতা হারায়।

ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও ২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানে থাকসিন ও ২০১৪ সালে তার বোন ইংলাক ক্ষমতাচ্যুত হন। কারাদণ্ড এড়াতে দুজনই দেশের বাইরে স্বেচ্ছানির্বাসনে রয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন