হোম খেলাধুলা টানা অষ্টম জয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করল আবাহনী

খেলার সংলাপ :

ডিপিএলে জিতেই চলছে আবাহনী লিমিটেড। হাইভোল্টেজ ম্যাচে মাশরাফীর লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ধানমণ্ডির জায়ান্টরা। আগে ব্যাট করে ২৮৬ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় রূপগঞ্জ। জবাবে নাঈম-আফিফের ব্যাটে স্বস্তির জয় পায় আবাহনী।

এ জয়ে প্রথম দল হিসেবে সুপার লিগ নিশ্চিতের পাশাপাশি পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান পোক্ত করল খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা৷

শুধু কাগজে কলমে নয় বাস্তবতা বলছে চলতি প্রিমিয়ারের সবচাইতে হাভোল্টেজ লড়াই আবাহনী-রূপগঞ্জের৷ ফতুল্লার নির্বিষ উইকেটে টস ফ্যাক্টর রূপগঞ্জের পক্ষে৷ সাইফ, মোসাদ্দেক, তানজিম সাকিব সবাই ব্যয়বহুল৷ ইমন ৩৯ আর মোটে দুই রানের জন্য ফিফটি মিস করেছেন সাব্বির রহমান৷ তবে তার আউটের সিদ্ধান্ত নিয়েও সন্তুষ্ট নয় তিনি৷ ক্ষোভ প্রকাশ করেন মাঠের মধ্যেই৷
 
পুরো আসর জুড়ে ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছোটানো চেরাগ জানি রূপগঞ্জের দুঃময়ের ত্রাতা আরও একদফা৷ তার ৫৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে লড়াইয়ে রাখেন তিনি। এরপর ক্রিজে নেমে ঝড় তোলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা৷ বুড়িয়ে গেলেও ফুরিয়ে যাননি তিনি৷ ঝড়টা গেছে রাকিবুলের ওপর দিয়ে৷ তিন ছক্কায় ১৮৭ স্ট্রাইকরেটে ম্যাশের ২৮ রান কিছু সময়ের জন্য স্মৃতিকাতর করেছে টাইগার ভক্তদের৷
 
শেষের দিকে সোহাগ গাজীর ৫ ছক্কায় ৪৮ রানের ক্যামিওতে ২৮৬ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ৷
 
আস্কিং রানরেট প্রায় ৬ ছুঁইছুঁই৷ পুরো আসরজুড়ে ওপেনিংয়ে রানের ফোয়ারা ছোটানো এনামুল হক বিজয়-নাঈম শেখের ব্যাট হেসেছে এদিনও৷ এ দুজনের ৬০ রানের পার্টনাশিপ ভাঙে ২৮ করে বিজয় ফিরলে৷ পরে দ্রুতই ফেরেন দানিশ আজিজ৷
 
ব্যাটিংয়ে মতো এদিন আর বোলিংয়ে ম্যাজিকাল কিছু করতে পারেননি মাশরাফী৷ কিন্তু চেষ্টায় ছিল না কোনো ত্রুটি৷ তবে প্রতিরোধের দেয়ালের নাম নাঈম-জাকের-মোসাদ্দেক৷ চাপের মুহূর্তে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ম্যাচসেরা ইনিংসও পাবে লেটার মার্কসই৷ তিনি অপরাজিত ছিলেন ৬২ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৮০ রানে।
 
শেষের দিকে পেসার মাশরাফী হয়ে গেলেন পুরোদস্তুর স্পিনার৷ ৪৮তম ওভারে ৫ রান দিয়ে জমিয়ে তুলেছিলেন ম্যাচ৷ তবে পরের ওভারে চেরাগ জানিকে চার মেরে সব উত্তজনায় পানি ঢেলে দেন সাইফউদ্দিন৷ চার বল হাতে রেখেই স্বস্তি জয় পায় ডিপিএলের সবচাইতে সফল ক্লাবটি৷ সঙ্গে প্রথম দল হিসেবে তারা নিশ্চয়ই করে সুপার লিগ৷

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন