হোম অন্যান্যসারাদেশ মনিরামপুরে চোরাই ও মরা গরুর মাংসের রমরমা ব্যবসা, হাতেনাতে আটক ১

রিপন হোসেন সাজু, মনিরামপুর (যশোর) :

মনিরামপুরে একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে চোরাই ও মরা গরুর মাংসের রমরমা ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে একটি মরা গরু এনে কসাইখানার পাশে নাম কাওয়াস্তে জবাই দেওয়ার সময় জনতা ধাওয়া দিয়ে আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। এসময় সিন্ডিকেট প্রধান আলমগীর কসাই ও তার প্রধান সহযোগী সুমন হোসেনসহ অন্যরা পালিয়ে যায়।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশে বুধবার সকালে স্থানীয়রা ওই মরা গরুটি মাটিচাপা দেয়। তবে অভিযোগ রয়েছে জনতার হাতে আটক হলেও পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। ফলে পুলিশের ভূমিকায় জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

অভিযোগে জানাযায়, উপজেলার কুয়াদা বাজারে কসাই আলমগীর ও তার ছোটভাই হাসানের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে কমমূল্যে চোরাই, রোগাক্রান্ত, গর্ভবতী ও মরা গরু কিনে বিক্রী করে আসছিল। এ কর্মকান্ড করতে গিয়ে আলমগীর ইতিপূর্বে যশোর কোতয়ালী থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।

সেখান থেকে মুক্ত হবার পর এলাকাবাসীর চাপের মুখে আলমগীর কুয়াদা বাজার থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়। পরে সে মনিরামপুর পৌরশহরের স্বরূপদাহ এলাকায় শফিউল্লাহ নামে এক কৃষকের মেয়েকে বিয়ে করে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে ঘরজামাই থেকে আলমগীর মনিরামপুরেও একই ধরনের কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।

মনিরামপুরে কসাই আলমগীরের এ সিন্ডিকেটের সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে গাংড়া এলাকার ট্রাক চালক আলাউদ্দিনের ছেলে সুমন হোসেনসহ বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার রাত ১২ টারদিকে গাংড়া এলাকা থেকে একটি মরা গরু ভ্যানে করে নিয়ে আসে পৌরশহরের জয়নগর এলাকায় কসাইখানার পাশে বাগানের ভেতর। প্রত্যক্ষদর্শী কামরুজ্জামান, গৃহবধু যমুনা বেগম জানান, গভীররাতে বাগানের সামনে কসাই আলমগীর ও সুমনকে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়।

এ সময় তারা বাগানের দিকে এগিয়ে গেলে কসাই আলমগীর হোসেন, সুমন হোসেনসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। এসময় সেখান থেকে ভ্যানে বোঝাইকরা একটি মরা গরুসহ আটক করা হয় আব্দুল্লাহ নামে এক যুবককে। পরে খবর পেয়ে থানা থেকে এসআই এমরান আলী গিয়ে জনতার কাছ থেকে আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে।

এসআই এমরান আলী জানান, কাসই আলমগীর ও তার প্রধান সহযোগী সুমনকে আটকের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে জনতার হাতে আটক আব্দুল্লাহ তার ভ্যানে করে মরা গরুটি ভাড়ায় বহন করে এনেছিল।

ফলে তাকে স্থানীয় এক ব্যক্তির জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এসআই এমরান জানান, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারি কমিশনার (ভূমি) আলী হোসেনের নির্দেশে স্থানীয়দের সহযোগীতায় বুধবার দুপুরে ওই মরা গরুটি মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন