আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
বেক্সিট ইস্যু, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বেহাল দশায় রয়েছে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি। এরই মধ্যে আরও একটি দুঃসংবাদ পেয়েছে দেশটির বাসিন্দারা। ২০২২ সালের শেষ তিন মাসে দেশটির অর্থনীতিতে কোনো প্রবৃদ্ধি হয়নি। তবে, মন্দা এড়াতে যথেষ্ট এটি। এর ফলে চলতি বছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের বাসিন্দাদের দুই ডিজিটের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করতে হবে। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাজ্যের গত ডিসেম্বরের জিডিপি শুক্রবার প্রকাশ করেছে দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় (ওএনএস)। এতে বলা হয়, পাবলিক সেক্টরে ধর্মঘটের কারণে জিডিপি কমেছে শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ। তবে, এর আগে জিডিপি শূন্য দশমিক তিন শতাংশ কমবে বলে অনুমান করেছিল ওএনএস।
রয়টার্স বলছে, জিডিপি কমলেও এতে স্বস্তিতে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট।
যুক্তরাজ্যের তৃতীয় ত্রৈমাসিকটি শেষ হয়েছিল গত সেপ্টেম্বরে। ওই সময়ও আউটপুট কমেছিল শূন্য দশমিক দুই শতাংশ। রানির মৃত্যু ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এমনটি হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে শেষটি, অর্থাৎ চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ইউরোপের মন্দার কারণে আউটপুট বাড়েনি।
এদিকে, গত সপ্তাহে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিক থেকেই একটি মন্দায় পড়বে যুক্তরাজ্য, যা সর্বশেষ প্রান্তিক পর্যন্ত থাকবে। তেমন গভীর না হলেও এটি দীর্ঘস্থায়ী হবে।
অর্থনীতি বিশ্লেষক দেবাপ্রীতম দে বলেন, ‘গত বছর কোনো রকমে মন্দা থেকে রক্ষা পেয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে, সামনের দিনগুলো আগের মতো ভালো হবে না। সাম্প্রতিক ডেটা তাই বলছে।’
গত অক্টোবরে ৪১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখেছে যুক্তরাজ্যবাসী। ওই সময় মূল্যস্ফীতি গিয়ে ঠেকেছিল ১১ দশমিক এক শতাংশে। এর ফলে সুদের হার বাড়াতে বাধ্য হয় ব্যাংক অব ইংল্যান্ড।
রয়টার্স বলছে, ২০২২ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে জিডিপি মহামারির সময়ের চেয়ে শূন্য দশমিক আট শতাংশ কম। অন্যদিকে, অন্যান্য উন্নত দেশের অর্থনীতি মহামারির সময়ের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
২০২১ সালে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হয় সাত দশমিক ছয় শতাংশ। পরের বছরে এটি কমে গিয়ে দাঁড়ায় চার শতাংশে। তবে, ২০২২ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে নতুন বিনিয়োগ আগের বছরের চেয়ে ১৩ দশমিক দুই শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।