আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
কয়েক মাসের অনিশ্চয়তার পর ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। ট্যাংকের চাহিদা পূরণের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ‘এফ-১৬’-র মতো চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান চেয়ে বসেছে দেশটি। খবর আল জাজিরার।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ইউরি স্যাক বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী বাধা হলো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান না থাকা। এখন আমাদের চাওয়া চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা প্রথমে আমাদের ভারী কামান, হিমার্স রকেট লঞ্চার সিস্টেম ও লেপার্ড ট্যাংক দিতে চায়নি, কিন্তু পরে সবই দিয়েছে। আমাদের আশা, পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়া অন্যান্য সব যুদ্ধাস্ত্র আমরা পাব।’
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাধুনিক ট্যাংক চেয়ে আসছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কয়েক সপ্তাহের জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জার্মানি জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে ১৪টি লেপার্ড-২ ট্যাংক দেবে। একই দিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে ৩১টি আব্রামস ট্যাংক দেবে বলেও জানায়। এর আগে দেশটিকে ১৪টি চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাংক দেয়ার ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
তবে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা ফাইটার জেট নিয়ে কথা বলতে মোটেও আগ্রহী নই। এমনকি আমরা কোনোভাবেই ইউক্রেনে আমাদের সেনা পাঠাব না। কারণ, এই যুদ্ধে ন্যাটো সেনাদের অংশগ্রহণের কোনো নির্দেশনা নেই।’
ওলাফ শলজ আরও জানান, পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। তবে এই সমর্থন যুদ্ধকে আরও উসকে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনীতে মূলত সোভিয়েত আমলের পুরোনো যুদ্ধবিমান রয়েছে। এসব বিমান রুশ বিমানের আক্রমণ প্রতিরোধ ও রুশ সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলার জন্য ব্যবহৃত হয়।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ শক্তিশালী পশ্চিমা দেশগুলো। প্রাথমিক অনিচ্ছা সত্ত্বেও দেশগুলো এখন ইউক্রেনে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করছে।