অনলাইন ডেস্ক:
৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিতে নিজের বাবাকে জবাই করে হত্যা করে ছেলে। হত্যা মিশনে অংশ নেন একজন কসাইসহ নিহত বৃদ্ধ নিবু মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক মো. সোহেল মিয়ার ৩ বন্ধু। বাবাকে হত্যার পর ৭০ হাজার টাকা ভাগাভাগি করে নেন ছেলে সোহেল ও তার বন্ধুরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।
পুলিশ জানায়, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে কৃষক নিবু মিয়াকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় তার ছেলে সোহেল মিয়াসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ঘাটন করা হয়েছে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, গত ২০ অক্টোবর দুপুরে বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকায় একটি ড্রেন থেকে ওই গ্রামের বাসিন্দা নিবু মিয়ার (৬০) গলাকাটা ও হাত-পা-মুখ বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আবদুর রহমান হৃদয় বাদী হয়ে একই দিন অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। তদন্তে নেমে এ হত্যাকাণ্ডে নিহত নিবু মিয়ার ছোট ছেলে সোহেল মিয়া ও তার ৩ বন্ধু জড়িত বলে জানতে পারে পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বাজিতপুর উপজেলার দক্ষিণ পিরোজপুর বাজার থেকে সোহেলসহ হত্যায় জড়িত কসাই নজরুল, ইলেক্ট্রিশিয়ান বাবুল ও রাজমিস্ত্রি সুমন মিয়াকে আটক করে পুলিশ। এদিন কিশোরগঞ্জের ৫ নম্বর আমল গ্রহণকারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি বাবুল মিয়া। নিবু মিয়ার সঙ্গে থাকা ৭০ হাজার টাকার জন্য গত ১৯ অক্টোবর রাতে সোহেল বাবাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তার ৩ বন্ধুকে নিয়ে হত্যা করে টাকা ভাগাভাগি করে নেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন চারজনই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল-আমিন হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।