স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে নতুন শিক্ষাপদ্ধতি ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। নতুন শিক্ষাপদ্ধতি বুঝতে একটু সময় লাগলেও এটি জীবনমুখী হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর সেগুন বাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতে লাগবে ২০২৫ সাল (দশম শ্রেণি পর্যন্ত)। ২০২৬ সালে শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা দেয়া শুরু করবে।’
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি এ বছর থেকে চালু হচ্ছে। তবে এর নানান দিক বুঝে উঠতে একটু সময় লাগবে। শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভ্যস্ত হতেও কিছুটা সময় লাগবে। তবে শিক্ষার্থীরা দ্রুত এতে অভ্যস্ত হবে।
আগের শিক্ষা ব্যবস্থা মূলত চাকরি করার জন্য একটি জনগোষ্ঠী বানাতে কাজ করছিল উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের শুধু চাকরি ও সনদের জন্য তৈরি করতো। মুক্ত স্বাধীন শিক্ষার কোনো সুযোগ ছিল না। আমরা সেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে বদলাতে পেরেছি। এখন শেখার জন্য, জানার জন্য একটি জীবনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এসেছি। যে শিক্ষাটা হবে আনন্দময়।
নতুন শিক্ষা পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের দক্ষ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা যা শিখবে, তা যেন প্রয়োগ করতে পারে সেদিকে নজর দেয়া হয়েছে। তারা যেন দক্ষ হয়ে উঠতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। দক্ষতাই পারবে স্মার্ট শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে। শুধু পড়ার জন্য পড়া নয়, সনদের জন্য পড়া নয়। শেখার জন্য পড়তে হবে। জানার জন্য পড়তে হবে।
দীপু মনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন, সেখানে স্মার্ট শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলার: স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি। এগুলোর প্রত্যেকটির সঙ্গেই স্মার্ট শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র রয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার স্টেকহোল্ডার আসলে বিশাল বড়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক। ভাবতে গেলে পুরো দেশ। তাই সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের স্মার্ট শিক্ষা বাস্তবায়ন করতে চাই। তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান প্রমুখ।