আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের দাবির পর এবার ১৮টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনীয় সেনাদের দাবি, মঙ্গলবার (১৬ মে) ভোরে তারা এসব ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করে। খবর সিনএনএনের।
ইউক্রেন সেনাপ্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি বলেন, ভূপাতিত করা ১৮টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৬টি কিনঝাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ৯টি কালিব্র ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ৩টি এস-৪০০ ও ইস্কান্দার-এম মডেলের ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। এ ছাড়াও কয়েকটি রাশিয়ান ড্রোন ভূপাতিত করারও দাবি করা হয়।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোর থেকে রাশিয়ান সেনারা হামলার চেষ্টা করে। তবে বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করে দিয়েছে।
ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার দাবি করেছেন, ইউক্রেন সেনারা বাখমুতের উত্তর ও দক্ষিণে উল্লেখযোগ্য কিছু এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ মে) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে তারা প্যাট্রিয়ট সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। কিনঝাল ‘হাইপারসনিক’ ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার করে তারা প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে বলে দাবি করা হয়। একই সঙ্গে ইউক্রেনের সেনা ও অস্ত্র সংরক্ষণাগার লক্ষ্য করেও ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্যাট্রিয়ট পেয়েছে কিয়েভ। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এটি ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে রুশ বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আধুনিক, কার্যকর ও উপযোগী ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত প্যাট্রিয়ট। যুদ্ধবিমান, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকানোর জন্য এতে লঞ্চার, রাডার ও অন্যান্য উপকরণ সংযুক্ত থাকে।
এদিকে যুদ্ধে ইউক্রেনের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার দায়ভার রাশিয়াকে নিতে হবে এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ। যুদ্ধাপরাধীদের সাজা দিতে মানবাধিকার সংস্থাকে উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি। ইউরোপ সম্মেলনের কাউন্সিলে তিনি এ আহ্বান জানান। আইসল্যান্ডে দুদিনের এ সম্মেলনে নেতারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির প্রমাণ রেকর্ড ও নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়ার অনুমোদন দেবেন।
এ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে তুলেছিল। তবে তার দাবি সব ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পেরেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।