অনলাইন ডেস্ক:
বিজয়ের বাহান্ন পেরিয়ে তিপ্পান্নতে বাংলাদেশ। পাক হানাদার বাহিনী থেকে সেই শৃঙ্খলমুক্তির আনন্দ উদ্যাপনে একাট্টা পুরো দেশ। ঢল নেমেছে স্মৃতির মিনারে। হাতে ফুল নিয়ে স্মৃতিসৌধে শিশু, তরুণ, বৃদ্ধ। আছেন ছাত্র, পেশাজীবী, রাজনীতিকরাও। সবারই প্রত্যয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার। পূর্ব প্রজন্মের পদাঙ্ক অনুসরণ করে শোষণ-বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার।
পৃথিবীতে কত কত রঙ। রঙের বাহার। তার মধ্যে বাঙালির জন্য নির্ধারিত হয়ে গেল লাল-সবুজ। যেন মর্মের রঙ। দোলা দিয়ে যায়। রীতি মেনেই কি বিজয়ের উচ্ছ্বাস? নাকি হৃদয়ের কোনো বেগ আছে? যা আপনা আপনি স্বতঃস্ফূর্তভাবেই জেগে ওঠে। আছে তো, নয়তো এমন রক্তরাঙা হাজার মানুষের এই ঢল কোথা থেকে এলো?
বাবার হাত ধরে শিশু, শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থী। নেতা আর কর্মী। এলো, সব পেশার, সব বর্ণের, সব ধর্মের মানুষ। ঐক্যতান আছে। বিজয় সুর বেঁধে দিয়েছে। সাভারে স্মৃতির মিনারে এলো আর যারা এলো না, সবাই আসলে বাঁধা পড়ে আছে জয় বাংলার সূত্রে।
দামামা বেজে উঠেছিল একাত্তরে। পিছু না হটার মনোবলের ওপর ভর করে সাধারণ মানুষই হয়ে উঠেছিল, গেরিলা যোদ্ধা। তাইতো সেই সাধারণের প্রত্যাশাই সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দিক এই বিজয় উদ্যাপনের ক্ষণে।
যে পথে এলো বিজয়, সেই পথই এখনও পাথেয়। তাই ইতিহাসের কাছে মাথা পেতে বসার অবসর মিলুক সবার। দর্শনার্থীরা বলছেন, স্বাধীন করতে গিয়ে যারা জীবন দিয়েছেন, তাদেরকে স্মরণ করাটা একটা বড় দায়িত্ব।
তারা আরও বলছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা পিছিয়ে থাকে না। তারা মানবাধিকার হরণ করার অপচেষ্টা করে। এজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
স্মৃতিসৌধে ঘুরতে যাওয়া এক ব্যক্তি বললেন, ছোটদের হাতে পতাকা তুলে দিচ্ছি। কারণ এই বাচ্চারা এই দেশের ভবিষ্যৎ। দেশ বিনির্মাণে অংশ নেয়ার বার্তা দেয়ার জন্য এই কাজটা করছি।