হোম অর্থ ও বাণিজ্য স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনের চার্জ সহনীয় করার আহ্বান আমদানিকারকদের

স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনের চার্জ সহনীয় করার আহ্বান আমদানিকারকদের

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 121 ভিউজ

বাণিজ্য ডেস্ক:

দেশের স্থলবন্দর এবং শুল্ক স্টেশনগুলো আমদানি করা পণ্যের বিদ্যমান লেবার হ্যান্ডেলিং চার্জ, পণ্য লোড-আনলোড চার্জ, ইকুইপমেন্ট চার্জ প্রভৃতি কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন আমদানিকারক ও রফতানিকাররা। পাশাপাশি লজিস্টিকস সক্ষমতা বৃদ্ধি, যোগাযোগ ও সড়ক পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়নসহ বন্দরে ব্যবসায়ীদের অযাচিত হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানান তারা।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে সিলেট বিভাগের ল্যান্ড পোর্ট, বর্ডার ট্রেড, ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রান্সশিপমেন্ট বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় এসব আহ্বান জানানো হয়।

এ সময় স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে দ্রুত রাজস্ব প্রদান, শুল্কায়ন, পণ্য খালাস এবং ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের জন্য ব্যাংক বুথ স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দেন ব্যবসায়ীরা।

এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশে ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্প সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে স্থল বন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র ভারত থেকেই বছরে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়। যার সিংহভাগই আসে স্থল বাণিজ্যের মাধ্যমে। এমন পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে স্থলবন্দর এবং শুল্ক স্টেশনগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

স্থলবন্দর, শুল্ক স্টেশনসহ আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লিখিত আকারে সুনির্দিষ্ট মতামত ও প্রস্তাবনা আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, যৌক্তিক প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে এফবিসিসিআই সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে।

কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ এবং এফবিসিসিআই পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমেদ জানান, সিলেটের তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে পাশের দেশ ভারত থেকে পাথর, চুনাপাথর, কয়লা, ফলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে রফতানি করা হয় সিমেন্ট, প্লাস্টিক পণ্য, ফার্নিচার, পাটসহ প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য।

তিনি বলেন, বন্দরগুলোতে কয়লা ও পাথর আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে লোড-আনলোড চার্জ অনেক বেশি। যা বাস্তবে বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তার সঙ্গে যুক্ত হয় ১৫ শতাংশ ভ্যাট। যা আমদানিকারকদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।

আমদানি করা কয়লা ও পাথর দীর্ঘদিন রেখে বিক্রয় করতে হয় বিধায় আমদানিকারককে এক বছর মেয়াদি ভাড়া বন্দোবস্ত প্রদানের আহ্বান জানান ফালাহ উদ্দিন আলী। তিনি বলেন, একইসঙ্গে বন্দরে ডাম্পিং এরিয়া বৃদ্ধি করতে হবে।

কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ শাখাওয়াত সেলিম চৌধুরী বলেন, স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। এতে করে পণ্য পরিবহনের ব্যয় কমবে। এতে ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক, কমিটির কো-চেয়ারম্যান, সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতারা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন