হোম অন্যান্যসারাদেশ সাবেক এমপির নির্যাতনে দৃষ্টি হারানো সুমন বর্ণনা করলেন কীভাবে চোখ তোলা হয়

সাবেক এমপির নির্যাতনে দৃষ্টি হারানো সুমন বর্ণনা করলেন কীভাবে চোখ তোলা হয়

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 41 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনের সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম শফির নির্দেশে ছাত্রদল নেতা মো. সুজন সরকার ও তার দুই ভাইকে থানায় ডেকে আটকে রেখে চাঁদা দাবি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠনো হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে সুজনের ডান চোখ তুলে নেয় বলেও অভিযোগ করা হয়।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উল্লাপাড়া পৌর এলাকার ঝিকিড়া সাহা পাড়া মহল্লার সুমন সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুমনের বাবা সবুজ সরকার ও ভাই সংগ্রাম সরকার। সংবাদ সম্মেলনে সুমন বর্ণনা করেন কীভাবে তার চোখ তুলে নেয়া হয়।

সুমন সরকার বলেন, আমার ছোট ভাই সুজন সরকার ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত। সে উল্লাপাড়া পৌর ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী। এ কারণে উল্লাপাড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম লেবু, ঝিকিড়া মহল্লার আওয়ামী লীগ কর্মী রেকোয়াত হোসেন রকেট ও সোয়েব আলী তার ভাইকে নানাভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করে।

তিনি আরও বলেন, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ কর্মী রেকোয়াত হোসেন রকেট ও সোয়েব আলীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাড়িতে হামলা করে। হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার বাবা সবুজ সরকার গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও তাদের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করে ২ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে এবং তিন ভরি স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সুমন সরকার বাদি হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে উল্লাপাড়া আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে গত ৯ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। তিনি অভিযোগ করেন, এ ঘটনার পর থেকে আসামীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়। উল্লাপাড়া আসনের তৎকালীন এমপি শফিকুল ইসলাম শফি ও উল্লাপাড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম লেবুর নির্দেশে উল্লাপাড়া থানার ওসি আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম ও এসআই গোলজার হোসেন মামলার মিমাংসার কথা বলে তাকে ও তার দুই ভাই সুজন সরকার ও সংগ্রাম সরকারকে উল্লাপাড়া মডেল থানায় নিয়ে যায়।

থানায় আমাদের আটকে রেখে মামলা প্রত্যাহরের জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং তাদের কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা তাদের থানায় আটকে রাখা হয়। পরবর্তীতে মিথ্যা মামলায় তিন ভাইকে আসামী করে আদালতে পাঠানো হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন