সংকল্প ডেস্ক:
তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ওয়ারেশের শ্রেণীভুক্ত করে তুঘলোকী কান্ড ঘটিয়েছে সাতক্ষীরা পৌর কর্তৃপক্ষ। জীবদ্দশায় সাতক্ষীরা শহরের বাঁকাল শেখ পাড়ার বাসিন্দা সরকারী চাকুরীজীবি নজরুল ইসলাম তার স্ত্রী জুলেখা খাতুনকে তালাক প্রদাণ করেন। কিন্তু পৌর কর্র্র্তৃপক্ষ অদৃশ্য কারনে তালাকের বিষয়টি গোপন করে ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকেটে জুলেখা খাতুনের নাম অন্তভূক্ত করায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, শহরের বাঁকাল শেখ পাড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম টিএন্ডটি অধিদপ্তরের কর্মচারী ছিলেন। একই এলাকার জুলেখা খাতুন কাজের বুয়া হিসেবে মাসিক পনেরো শত টাকা বেতনে অবসর প্রাপ্ত টিএন্ডটি অধিদপ্তরের কর্মচারী নজরুল ইসলা কে দেখাশোনা করতেন।
এরই মধ্যে ২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর ৯৯৯৯ টাকা দেনমোহরে ছলচাতুরীর মাধ্যমে জুলেখা খাতুন বয়োঃবৃদ্ধ নজরুল ইসলামকে বিয়ে করেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই জুলেখা খাতুনের অসৎ উদ্দেশ্য নজরুল ইসলাম বুঝতে পারেন। ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী জুলেখা খাতুনকে তালাক প্রদাণ করেন। তালাকনামাটি নজরুল ইসলাম রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পৌরসভা ও জুলেখা খাতুনের নিকট প্রেরণ করেন। একই বছর ৩০ ডিসেম্বর শেখ নজরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন।
অপরদিকে, সাতক্ষীরা পৌর কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি মরহুম নজরুল ইসলামের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী জুলেখা খাতুন, ভাই আজহারুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলামের নাম শ্রেণীভূক্ত করে বিতর্কিত একটি ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকেট প্রদাণ করে। বিতর্কিত ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকেট পুঁজি করে জুলেখা খাতুন, নজরুল ইসলামের পেনশন সুবিধাদি উত্তোলন করতে থাকেন।
অপরদিকে, মরহুম নজরুল ইসলামের ভাই শেখ আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৬৪/২০১৯ নং দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় মহরুম নজরুল ইসলামের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ওয়ারেশ নয় বলে দাবী করা হয়। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষের বিতর্কিত ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকেট এর কারনে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। বাদী আজহারুল ইসলাম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের মামলার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপলি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
তবে, জুলেখা খাতুনের দাবী মরহুম নজরুল ইসলাম তাকে কোনো তালাক দেন নাই।