হোম অন্যান্যসারাদেশ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতির তদন্ত সম্পন্ন

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতির তদন্ত সম্পন্ন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 133 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়েবুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূনীতির তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে মঙ্গলবার যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডা: শেখ আবু শাহিনসহ দুই সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত টিম কালিগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে অভিযোগকারি এক নারী স্বাস্থ্য কর্মীসহ স্থানীয় গ্রামবাসিদের দেয়া লিখিত আবদেনের প্রেক্ষিতে মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য গ্রহন করেন।

অভিযোগকারি স্বাস্থ্য কর্মী স্বপ্না খানম জানান জানান, তিনি কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এস,কে,সি, এমও পদে র্দীঘ ৯মাস কর্মরত ছিলেন। তিনি যোগদান করার পর হাসপাতালের কোয়াটারে থাকার অনুমতি দেন ডা: শেখ তৈয়েবুর রহমান। কিন্তু তার নামে কোয়টারের কোন বরাদ্দ না দিয়ে তার কাছে মাসিক ৪ হাজার টাকা ভাড়া গ্রহন করেন ডাঃ তৈয়েবুর। কিন্তু সে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে তিনি নিজে আতœসাৎ করেছেন। পরবর্তীতে সরকারি টাকা কোষাগারে জমা না দেওযার প্রতিবাদ করলে তার সাথে বিরোধ হয়। এরপর তার স্বীয় ক্ষমতাবলে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলী করেন। পরে খুলনা ডিজির আদেশে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন হুসাইন সাফায়েত হোসেন তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী করেন। কিন্তু ডা: শেখ তৈয়েবুর রহমান তার ছাড়পত্র, নাদাবী পত্র, এলপিসি আটকিয়ে রাখেন। বিষয়টি তিনি সির্ভিল সার্জন মহোদয়কে অবহিত করিলে তিনি কালিগঞ্জ উপজেলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তার যাবতীয় কাগজ পত্র বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।

এরপর গত ৫ মার্চ সে গুলো ইস্যু করেন। কিন্তু কালিগঞ্জ হিসাব রক্ষন অফিসে প্রেরণ করেন গত ৭ এপ্রিল। যার কারণে তার ২মাসের বেতন ও বোনাস ঈদের আগে তিনি তুলতে পারেননি। এসময় তার মানসিক প্রতিবন্ধী বাচ্চাকে টাকার অভাবে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে পারেননি। তিনি একজন সরকারি মহিলা কর্মচারী হয়েও বিগত ২মাসে তিনি বহু হয়রানির শিকার হয়েছেন। এর প্রতিকার চেয়ে তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক নির্দেশে যশোর জেলা সিভিল সার্জন তদন্তে আসেন এবং তার কাছে হাসাপাতালের অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে চান। এছাড়া স্থানীয় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এ সময় তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ডা: শেখ তৈয়েবুর রহমানের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারী, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া সাধারন রুগীদের হয়রানি, সরকারী ঔষধ ঠিকমত রুগীদের না দেয়া, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপরিষ্কার রাখা, ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি মিজানুরের জোগসাজশে নানা অনিয়ম ও দূনীতির সাথে জড়িত থাকার চিত্র তুলে ধরেন।

অনিয়ম ও দূনীর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলার স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: শৈখ তৈয়েবুর রহমান মুখ খুলতে রাজি হননি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন