হোম এক্সক্লুসিভ সংবাদ প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমন্ত্রণ পেলেন জমিদার জগন্নাথের বংশধররা

তানভীর আনজুম, জবি প্রতিনিধি:

সংবাদ প্রকাশের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমন্ত্রণ পেয়েছেন জমিদার জগন্নাথ রায়ের বংশধররা। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক মো. মিঠুন মিয়া। আগামীকাল বৃহষ্পতিবার পালিত হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।

জগন্নাথ রায়ের শেষ বংশধর কালিশঙ্কর রায় চৌধুরীর স্ত্রী ভারতী রায় জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক আমাকে আজ ফোন দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আসার জন্য। আমার স্বামী অসুস্থ। দেখি যেতে পারি কিনা, যদি আমরা যায় তাহলে আমার মেয়ে, নাতী, জামাতাকে সঙ্গে নিয়ে যাবো।

এর আগে গত মঙ্গলবার মুঠোফোনে কথা হলে কালিশঙ্কর রায়ের স্ত্রী ভারতী রায় চৌধুরী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমাদেরকে ডাকা হয়নি। আমার জামাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী। তাকেও কোনো নিমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ আমার স্বামীর দাদার বাবা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জমি দান করেছিলেন। আমরা ছাড়া ঢাকায় জমিদারের বংশের কেউ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুষ্ঠানে আমাদের এখন আর ডাকা হয় না।

এদিকে একসময়ের প্রতাপশালী জমিদারের বংশধর কালিশঙ্কর রায়ের জীবন কাটছে দুর্দশায়। এ দেশের শিক্ষা বিস্তারে নিঃস্বার্থে কিশোরীলাল নিজের নামে কিশোরীলাল জুবিলি স্কুল ও তার বাবা জগন্নাথ রায়ের নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীণ স্কুল) জমি দেন। অথচ জীবন জীবিকার টানে বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েই চতুর্থ শেণির কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন কিশোরীলালের বংশধরের জামাতা। ছেলে না থাকায় সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন বৃদ্ধ কালিশঙ্করের জামাতা বিপ্লব সাহা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত।

জানা যায়, বালিয়াটির এক সময়ের প্রতাপশালী জমিদার ও ব্রিটিশ সরকার থেকে রায় খেতাবপ্রাপ্ত কিশোরীলাল রায় চৌধুরী এ দেশের শিক্ষা বিস্তারের জন্য ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দে তার বাবা জগন্নাথ রায়ের নামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর কলেজ, তারপর ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে আইন পাশের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। ১৮ বছরের যৌবন পার হতে চলা এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষার্থী প্রায় ১৬ হাজার।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন