রাজনীতি ডেস্ক:
‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংঘাতমুক্ত হবে কিনা সেই নিশ্চয়তা দিতে পারছি না’- এমন কথা মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যাট সেক্রেটারি আফরিন আক্তারকে বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় ইন্ডিয়ান ওশন রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে আফরিন আক্তারের সঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। এ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিনিধিত্ব করেন আফরিন আক্তার।
আফরিন আক্তার আগামী ১৫ অক্টোবর ঢাকায় আসবেন- তার সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোকপাত করা হবে কিনা- এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মোমেন বলেন, তিনি ঢাকায় আসবেন। তার সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হবে এবং নির্বাচন নিয়েও কথা হবে।
‘নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয় সেজন্য আমরা কী কী কাজ করেছি, তা তাদের বলেছি। তবে নির্বাচন সংঘাতমুক্ত হবে কিনা; সেটার গ্যারান্টি আমরা দিতে পারব না। সংঘাতমুক্ত হতে হলে সব দলমতের পক্ষ থেকে অঙ্গীকার থাকতে হবে। তা না হলে সংঘাতমুক্ত নির্বাচন সম্ভব না।’ এসব কথা তাদের বলা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শ্রীলঙ্কায় আফরিন আক্তারের সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি এ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসবেন। বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। আমরা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছি। স্বচ্ছ নির্বাচন করতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা বলেছি। মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকারের’ সম্পাদক আদিলুর রহমানের কথা তিনি তুলেছেন। তাকে বলা হয়েছে, আপনার দেশে যদি মিথ্যা প্রচার করা হয়, আপনারা বিচার করতেন না। তিনি বলেছেন, অবশ্যই করতাম। আমি বলেছি, আইনের মাধ্যমেই তার বিচার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘‘আদিলুরের বিষয়ে তাদের ধারনা ছিল সরকার হিংসা-বিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে তার বিরুদ্ধে বিচার করেছে। বলেছি, আমি তো আমেরিকায় এনজিও করেছি। সেখানে যদি আয় ও ব্যয়ের হিসাব না দেখাতাম, তাহলে আমার বারোটা বেজে যেত। শাস্তি দেয়া হত। আর আদিলুর প্রায় দশ বছর ধরে তার আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব সরকারকে দেয়নি। এ অবস্থায় আপনারা কী করতেন?’ তিনি বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সাজা দিতাম’।”
মন্ত্রী আরও বলেন, লোকজন ভোট দেবে কিনা; তারা জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি বলেছি, অবশ্যই ভোট দেবেন। এটা আপনার দেশ না, আপনার দেশের লোকজন ভোট দেয় না। আমাদের দেশে ভোট একটা উৎসব। বাংলাদেশে সফরে এসে তিনি এগুলো জানতে চাইবেন ও অনেকের সঙ্গে সাক্ষাতও করবেন।