শ্যামনগর প্রতিনিধি :
শ্যামনগরের গাবুরার চাঁদনীমূখা স্লুইচ গেইট পানি সরবরাহের চাঁদাবাজদের সাথে ঘের মালিকদের সংঘর্ষের বিরোধে ৫ঘের মালিক মারাত্মক রক্তাক্ত জখমের খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয়ঘের মালিক শাহজাহান, মোস্তাফিজুর, মহসিন শেখ জানান,১মে বেলা আনুঃসাড়ে১১টার দিকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে খোলপেটুয়া গ্রামের কাশেম বাহিনী রাম দা,লাঠি,রডসহ বিভিন্ন অস্ত্রাদী নিয়ে ওৎপেতে থাকে। চাঁদনীমূখা বাজারের সন্নিকটে ঘের মালিক ও তাদের পরিবাবের সদস্য বায়জিদ ওরফে বাবু,ওসমান গাজী ,ফারুক হোসেন, মহসিন শেখ ও মহিদুলের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আতংক সৃষ্টি করে।
কাশেম বাহিনী প্রধান কাশেম আলীর নেতৃত্বে ঘের মালিকগণ রক্তাত জখম হলে সংঘর্ষ দীর্ঘায়িতের রুপ নেয়। ইউপি চেয়ারম্যান জি,এম,মাসুদুল আলম বিষয়টি অবগত হয়ে দ্রুত শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব নাজমুল হুদা কে জানালে তিনি দ্রুত পুলিশ কর্মকর্তা রিপন ও জিল্লুর নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে ঘটনাস্থল পরিবেশ শান্ত করেন। এ সময় কাশেম বাহিনী পুলিশের উপস্থিতি দেখে দ্রুত পলায়ন করে।ঘটনা স্থল থেকে ২টি দা উদ্ধার করা হয়।
চাঁদনীমুখা পানি সরবরাহের সরকারি স্লুইচ গেইট দীর্ঘদিন ধরে কাশেম বাহিনী তার নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ঘের মালিকদের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে আসার অভিযোগ উঠে।এ চাঁদার টাকা দিতে দেরী হওয়ায় বা ঘের মালিকগণ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বিরোধ সৃষ্টি হয় কাশেম বাহিনীর সাথে।
কাশেম বাহিনী তাদের আধিপত্ত বজায় রাখতে পরিকল্পিত ভাবে এ ধরণের হামলা করা হয়েছে বলে ঘের মালিকগণ জানিয়েছেন।কাশেম আলীর সাথে যোগাযোগে না পাওয়ায় তার ভাষ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে রওনার খবর পাওয়া যায়।
মামলার বাদী খ্যাগড়াঘাট গ্রামের মৃতঃ শ্যামালী গাজীর পুত্র শফিউল আলম জানান, আজাদ গাজী সহ তার অপর ২ ভাই শহিদ গাজী,সেলিম গাজী ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪জনের বিরুদ্ধে বেআইনী জনতাবদ্ধে অনাধিকারে সম্পত্তি ও ঘেরের বাসায় প্রবেশ করতঃ খুন করার উদ্দেশ্যে মারপিট করে সাধারণ ও গুরুতর জখম,চুরি ও ভয়ভীতি প্রদর্শের অপরাধে মামলা হলে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজাদ গাজী কে পুলিশ আটক করায় তিনি মিথ্যার
আশ্রয় নিয়ে অসুস্থতার দৌহাই দিয়ে ছাড়া পেতে অপচেষ্টা করছেন।এস,আই আব্দুর রাজ্জাক জানান, তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসলেই আজাদ গাজী তার বুকে হাত দিয়ে বলেন, স্যার আমি হার্টের রোগী, আমার বুক ব্যথ্যা করছে, পরবর্তীতে তাকে দ্রুত শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে হার্টের রোগী ও অসুস্থতার কথা নিশ্চিত করলে ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়। স্থানীয় ঈশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান জি, এম, শোকর আলী জানান,যথাযথ প্রক্রিয়ায় আজাদ গাজী কে তার জিম্মায় চিকিৎসার জন্য দেওয়ায় তিনি শ্যামনগর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করে সর্বদা খোঁজ খবর রাখছেন এবং তিনি অসুস্থ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।