শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ‘জমি আছে ঘর নাই’ আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে ঘর নির্মাণে অনিয়ম প্রসঙ্গে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশেরর পর সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। গত ২২ অক্টোবর(বৃহস্পতিবার) দুপুরে দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে ৩ সদস্যের টিমের শৈলকুপায় আসে। টানা ৩ ঘন্টারও বেশী সময় ধরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বলেন ও ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে এই বিশেষ প্রকল্প নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠা নানা প্রসঙ্গে খোঁজ-খবর করেন।
শৈলকুপার পৌর এলাকার কবিরপুরসহ ভেঙ্গে পড়া কয়েকটি উপকারভোগীর ঘর পরিদর্শন করেন। দুদকের ৩ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দুদকের ইন্সেপেক্টর আখতারুজ্জামান। তিনি জানান, দুদকের উপ-পরিচালকের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছেন। পরে বিস্তারিত জানাতে পারবেন। শৈলকুপায় এই ঘর নির্মাণ নিয়ে নানা অনিয়ম আর কেলেঙ্কারীর খবর টেলিভিশন হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কোথাও নির্মাণের সময়ই ধ্বসে পড়ছে দেয়াল আবার কোথায় ইট-বালিসহ নিম্নমানের সামগ্রী দেয়ার অভিযোগে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল কয়েকটি ঘরের।
ফাজিলপুর, কবিরপুর,মনোহরপুর, সাহবাজপুর সহ কয়েকটি গ্রামে এই ঘর নির্মাণে অনিয়ম ধরা পড়ে। ইট,বালি-সিমেন্ট সহ নির্মাণ সামগ্রী নি¤œমানের বলে কথা ওঠে। এসব ঘর তদারকি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চলতি অর্থ বছরে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ৪৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৭টি ঘর নির্মাণ হয়েছে। প্রতিটি ঘর বাবদ বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।