হোম খেলাধুলা লিভারপুলের ম্যাচে ফিলিস্তিনকে বাঁচানোর আকুতি

লিভারপুলের ম্যাচে ফিলিস্তিনকে বাঁচানোর আকুতি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 115 ভিউজ

স্পোর্টস ডেস্ক:

টানা বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাকে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করেছে ইসরাইল। মানবেতর জীবনযাপন করছে সেখানকার বাসিন্দারা। নিপীড়িত সে মানুষদের পক্ষে আওয়াজ উঠেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) লিভারপুল-এভারটন ম্যাচে। যেখানে কালো ব্যানারে গাজাকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়েছে খেলা দেখতে আসা সমর্থকরা।

আন্তর্জাতিক বিরতি কাটিয়ে মাঠে ফিরেছে ক্লাব ফুটবল। শনিবার (২১ অক্টোবর) ইপিএলে এভারটনের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। দলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ। তাতে আর্সেনাল ও টটেনহ্যামকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে অল রেডরা।

সালাহর জোড়া গোলের জয়ে অ্যানফিল্ড উৎসবে মাতোয়ারা হওয়ার কথা থাকলেও এদিন গ্যালারিতে দর্শকরা যেন শোকস্তব্ধ ছিল। কারণ পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষের দুঃখে, আরেক প্রান্তের মানুষ হাসতে পারে না। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নারী থেকে শুরু করে নিরীহ শিশুরাও ইসরাইলি বর্বরতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। টানা বিমান হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা। হাসপাতালগুলো যেন এক একটি মর্গ। খাবার ও ঔষধ সঙ্কটে ভয়াবহ বিপর্যয়ে দিন কাটছে স্থানীয়দের। তাদের সে মানবেতর জীবনযাপন হৃদয় ছুঁয়ে গেছে অ্যানফিল্ডের সমর্থকদেরও।

তাইতো ম্যাচে বড় ব্যানারে ইংরেজিতে ‘ফর গড’স সেক সেভ গাজা (আল্লাহ’র ওয়াস্তে গাজাকে বাঁচান)’ লিখে ফিলিস্তিনকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন সমর্থক ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে গাজার বাসিন্দাদের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে।

মূলত গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরাইলে হাজার হাজার রকেট ছোড়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল। তাদের টানা বিমান হামলায় ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে গাজা।

এর আগে মিশরীয় ফরোয়ার্ড সালাহ এক ভিডিও বার্তায় ফিলিস্তিনের নিরাপরাধ মানুষের সহায়তায় ও যুদ্ধে বন্ধে বিশ্ব নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আজ অ্যানফিল্ডে ম্যাচের শুরুতে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সমর্থনে কালো আর্মব্যান্ড পরে শোক প্রকাশ করেছেন তিনি। অবশ্য এদিন সালাহ একা শোক প্রকাশ করেননি। লিভারপুল-এভারটন ম্যাচের শুরুতে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সমর্থনে খেলোয়াড়, ম্যাচ অফিশিয়াল ও সমর্থকরা দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করে। এসময় সকল খেলোয়াড় ও ম্যাচ অফিশিয়ালদের হাতে পরা ছিল কালো আর্মব্যান্ড (শোক প্রকাশের চিহ্ন)।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন