হোম জাতীয় রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাকে অপহরণ, নারীসহ আটক ৭

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাকে অপহরণ, নারীসহ আটক ৭

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 67 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

নারী দিয়ে কৌশলে ডেকে এনে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে এক নারীসহ চক্রের ৭ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাতভর অভিযান চালিয়ে মোংলা ও রামপালের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় মোংলা-রামপাল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার।

পুলিশ জানায়, মোংলা ও রামপালসহ উপকূলীয় এলাকায় গড়ে উঠেছে একটি বড় প্রতারক চক্র। যারা নারীদের ব্যবহার করে অপহরণ করে। প্রথমে কেনো নারী মোবাইল ফোনে সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরে দেখা করার কথা বলে ডেকে এনে আকটে রেখে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ ও চাঁদা আদায় করতো বলে এমন অভিযোগ আসে পুলিশের কাছে।

১৩ ডিসেম্বর সুরাইয়া আক্তার নামের এক নারী দেখা করার কথা বলে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাওয়ার মেট প্রজেক্ট ম্যানেজার আদিল মাহমুদকে বেলাই ব্রিজ এলাকায় আসতে বলে। রাত সাড়ে ৭টার দিকে ম্যানেজার আদিল মাহমুদ সেখানে গেলে কিছু বুঝে উঠার আগেই অন্যান্য সদস্যরা তাকে মারধর করে এবং হাত-পা ও চোখ বেঁধে মাহেন্দ্র যোগে অপহরণ করে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এসময় তার কাছে থাকা মোটরসাইকেল, একটি আইফোন ও নগদ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে নেয়। পরে তার স্ত্রীকে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

আদিলকে হত্যার ভয় দেখিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে তার স্ত্রীর কাছ থেকে ৪৯ হাজার ৯৭০ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। পরে বাকি টাকা আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে না দিলে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে চোখ বাঁধা অবস্থায় রাত সোয়া ১০টার দিকে অন্য একটি নির্জন জায়গায় ছেড়ে দিয়ে চলে যায় তারা।

জীবনের ভয়ে এ ঘটনা কাউকে না বললেও ১৬ জানুয়ারি রাতে মাহেন্দ্র ড্রাইভারকে দেখে পুলিশকে খবর দেন আদিল মাহমুদ। ড্রাইভার আটক হলে তার দেয়া তথ্যমতে বিভিন্ন এলাকা থেকে সুরাইয়া আক্তার টিনা, শাহিন শেখ, আব্দুল্লা, আসলাম মোল্লা, ইমন শেখ, ফেরদাউস হাসান ও রমজান শেখকে আটক করে রামপাল থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় মোটরসাইকেল ও কিছু নগদ টাকা। আইফোন উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।

তবে গড়ে ওঠা এ চক্রকে এখনই দমন করতে না পারলে, মোংলা বন্দর ও শিল্পাঞ্চলের মানুষ ও ব্যবসায়ীরা রাস্তায় বের হওয়াই দায় হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

মোংলা-রামপাল সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার বলেন, গত মাসে এমন একটি অভিযোগ আসে আমাদের কাছে। এরপর এটা নিয়ে গোপনে আমরা কাজ করছিলাম। হঠাৎ ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মাহেন্দ্র ড্রাইভারকে দেখে আমাদের খবর দিলে তাকে গ্রেফতার করি এবং জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের নাম বলে সে। তার দেয়া তথ্যমতে এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি। মামলা দায়ের শেষে বুধবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন