ঝালকাঠি প্রতিনিধি :
ঝালকাঠির রাজাপুর সদরে প্রবেশের একমাত্র মাধ্যম বাগড়ি বেইলি ব্রিজ। এই ব্রিজটির মালিকানা কোন দপ্তরের তা কেউই জানেনা ।
দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কারের অভাবে পড়ে থাকা এই বেইলি ব্রিজটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ব্রিজটি চলাচলের প্রায় অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। অথচ এই ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েকহাজার মানুষ ঝুকি নিয়ে চলাচল করে,যাতায়াতকরে শত শত যানবাহন। প্রায় বছর ধরে এ বেইলি ব্রিজটি সংস্কার বিহীন পড়ে থাকলেও কোন দপ্তর সংস্কারে এগিয়ে না আসায় জনমনে একটাই প্রশ্ন এলজিইডি না আরএইচডি ব্রিজটির মালিকানা আসলে কার ?
রাজাপুর উপজেলা সদরের প্রাননকেন্দ্রে অবস্থিত এ বাগড়ি বেইলি ব্রিজটি নব্বইয়ের দশকে নির্মিত হয়। এরপর এই বেইলি ব্রিজটিতে গত ত্রিশ বছরে আর কোন সংস্কার লাগেনি। বছর খানেক আগে এই ব্রিজের পাটাতন নষ্ট হয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয় ।
ব্রিজটি মেরামতের জন্য কেনো দপ্তর এগিয়ে না আসায় রাজাপুর থানা ভারপাপ্ত কর্মকর্তা নিজ উদ্দোগে ব্রিজের পাটাতন সংস্কার করেন। এরপর কিছুদিন এ বেইলি ব্রিজটি যান চলাচলে উপযোগী ছিল। হঠাৎ করে আবার ব্রিজটির পাটাতনে নতুন করে কয়েকটি গর্ত দেখা দেয়।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বেইলী ব্রিজটির পাটাতনগুলো পুরনো হয়ে গেছে। পাটাতন গুরোর গুলোর বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়,প্রশাসনের নাকের ডগায় থাকলেও ব্রিজটির সংস্কার হচ্ছে না।অথচ এই ব্রিজটি দিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ডসহ প্রতিদিন শতশত যানবাহন চলাচল করে। প্রতিদিন এই ভাঙ্গা ব্রিজের গর্তে রিক্সা, ভ্যান, মটর সাইকেল, সহ যানবাহনের চাকা ঢুকে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
ভাঙ্গা অবস্থায় প্রায় পনেরদিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কেউ সংস্কারে এগিয়ে আসেনি। নানা ধরনের যানবাহন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এ কারণে ব্রিজটি ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগ ও জীবনের ঝুঁকি বেড়েই চলছে। যে কোনো সময় পাটাতন ভেঙে যানবাহন খালে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজটি ভেঙে পাকা সেতু নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এলজিইডি রাজাপুর উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মস্তোফা গনমাধ্যমকে বলেন, ব্রিজের দুই দিকের রাস্তা আমাদের হলেও এই বেইলি ব্রিজ আমাদের দপ্তরের করা না। কেননা,এলজিইডি কংক্রিটের ছাড়া ষ্টিলের ব্রিজ কখনোই করেনা। এ ব্রিজ সড়ক ও জনপথ বিভাগের।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, রাস্তা এলজিইডি বা রোডস যারই হোকনা কেন যখন হস্তান্তর হয়েছে তখন ব্রিজসহ এলজিইডি দপ্তরে হস্তান্তর হয়েছে। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী হয়তো বিষয়টি জানেনা। এখানে আমাদের কোন দায়িত্ব নাই।