মণিরামপুর (যশোর)প্রতিনিধি :
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের দায়ে এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামি সোহাগ আলী মণিরামপুর উপজেলার মাছনা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। বৃহস্পতিবার( ২৯ অক্টোবর) যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মাহমুদা খাতুন এই রায় ঘোষণা করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। একই সঙ্গে মামলায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই অভিযোগ থেকে আসামিকে খালাস দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা লড়েন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল। তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর মণিরামপুর উপজেলার মাছনা গ্রামের শামসুর রহমানের ছেলে মতিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তি যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতে অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, সোহাগ তার মেয়ে মাহমুদাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে ২০১৫ সালের ৫ জুলাই তার মেয়েকে আসামি মাছনা মাদরাসার পাশ থেকে অপহরণ করে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তাকে বিজয়রামপুর গ্রামের আসামির এক আত্মীয় বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।আদালত মামলায় ৬জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি সোহাগের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী-২০০৩)এর ৭ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই সাজা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২ ০০০(সংশোধনী-২০০৩)-এর ৯(৪)(খ)ধারার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়।