খুলনা অফিস :
পরিবহন শ্রমিকদের এই দুঃসময়ে শ্রমিক ইউনিয়ন মালিক সমিতি ও সরকারের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের চাঁদার আদায়কৃত গচ্ছিত অর্থে পরিবহন শ্রমিকদের সহায়তার দাবী জানিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএনপির নেতৃবৃন্দ এ দাবী জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, খুলনার পরিবহন শ্রমিকরা গত একমাসে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।
দীর্ঘ এক মাস পরিবহন বন্ধ থাকায় খুলনা মহানগর ও জেলায় ১০ থেকে ১২হাজার পরিবহন চালক-সুপারভাইজার হেলপার কলার ওয়ার্কশপ কর্মচারী শ্রমিকরা কঠিন সময় পার করছে। বেতন নেই, ত্রাণ নেই কোন খেয়ে না খেয়ে নিদারুণ কষ্টে আছে পরিবহন শ্রমিকরা। প্র
দত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বছরের পর বছর সমিতি ও ইউনিয়নের নামে আদায়কৃত কোটি কোটি টাকার চাঁদা যদি দুঃসময়ে পরিবহন শ্রমিকদের কল্যাণে না লাগে তাহলে এসকল সমিতি ইউনিয়ন কাদের স্বার্থে? বর্তমান সরকারের ১১বছরে একাধিক মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের দফায় দফায় চাঁদার হার বাড়ানো ও সরকারী দলের তোষামোদিতে অর্থ ব্যয় এবং জৌলুসপুর্ণ জীবন-যাপনকারী নেতারা পরিবহন শ্রমিকদের কষ্টের সময় কেন এগিয়ে আসছে না।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ইউনিয়নের ও সমিতির গচ্ছিত অর্থ দিয়ে দ্রুত শ্রমিকদের খেয়ে বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন এবং একই সাথে জেলা প্রশাসনকে মটর শ্রমিকদের জন্য পৃথক ১০টাকা কেজিধরে ওএসএম চালের রেশনকার্ড বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন, বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদুভাই, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, আব্দুল জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, মোঃ ইকবাল হোসেন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এসএম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।