মাগুরা অফিস:
আগামী সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান শিখরের আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করায় নির্বাচনী এলাকার সাধারণ ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীরা উচ্ছ¡সিত। গতকাল রবিবার সকালে ঢাকার ধানমন্ডির দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয় থেকে তিনি এ মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন।
এবারের নির্বাচনে জীবনের প্রথম ভোট দিতে যাচ্ছেন এ ধরণের একজন কলেজ শিক্ষার্থী মেহের নিগার খান বলেন, আমরা নতুন প্রজন্ম সাইফুজ্জামান শিখরের মতো মেধাবী ও সৃজনশীল কার্যক্রমে সক্ষম প্রার্থীকে ভোট দিতে চাই। তিনি গত ৫ বছর এমপি থাকাকালীন জেলা শিক্ষা,স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, ক্রীড়া ও আইটি ক্ষেত্রে অভুতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। বিশেষ করে মাগুরা একমাত্র সেই জেলা যেখানে রেল যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা ছিলো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহে এমপি সাইফুজ্জামানের চেষ্টায় মাগুরা জেলা রেল যোগাযোগের আওতায় আসছে। এছাড়া মেডিকেল কলেজ, শেখ কামাল আইটি পার্ক, চার লেন সড়কসহ নানা উন্নয়ন আমরা দেখতে পেয়েছি।
ব্যবসায়ী আনসার আলী বলেন, বিগত যেকোন সময়ের চেয়ে গত ৫ বছরে মাগুরা-১ আসনে সাইফুজ্জামান শিখর এমপি থাকায় জেলার আইন শৃঙ্খলা ব্যবসাবান্ধব ছিলো। মাগুরার ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা করেছেন। চাঁদাবাজি কিম্বা কোন সন্ত্রাসী অপতৎপরতার শিকার হননি তারা। আমরা সহজেই যে কোন সমস্যায় তার কাছে যেতে পেরেছি। তিনি দ্রæত সেটির সমাধান করেছেন। বিশেষ করে তিনি সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় বেশির ভাগ সময় তার নির্বাচনী এলাকায় কাটিয়েছেন। এ কারনে সাধারণ মানুষসহ ভোটারদের সাথে তার নিবিড় সর্ম্পক গড়ে উঠেছে। আগামী নির্বাচনে আমরা তাকেই প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ খান জানান, মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতি এক করার কারিগর মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান শিখর। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারি একান্ত সচিব থাকাকালীন সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত রাজনীতির পেছনে নিরবিচ্ছিন্ন সময় দিয়েছেন। যে কারনে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে তার বিকল্প কেউ নেই।
জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু বলেন, দলীয়ভাবে সইফুজ্জামান শিখর মনোনয়ন পেলে জেলা আওয়ামীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সম্মিলিতভাবে কাজ করে নৌকাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। তরুন প্রজন্মেও প্রতিনিধি হিসেবে সাইফুজ্জামান শিখরের বিকল্প মাগুরা-১ আসনে নেই। সবচেয়ে বড়কথা তিনি ত্যাগী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। এ কারণে তৃণমুলের সাথে অনেক আগে থেকেই জানাশুনা ও সম্পর্ক। ফলে গত ৫ বছর সে খুব সহজে মাগুরায় সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগত ইমেজ অত্যন্ত সুদৃঢ়ভাবে সমৃদ্ধ করতে পেরেছে। যেটি ভোটের রাজনীতিতে প্রধান নিয়ামক শক্তি।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ বলেন, আমরা তার বাবা মাগুরার ৪ বারের এমপি সনামধন্য পার্লামেন্টেরিয়ান এ্যাডভোকেট আছাদুজ্জামানের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেছি। আছাদুজ্জামানের অনেক রাজনৈতিক ও মানবিক গুন তার সন্তান সাইফুজ্জামান শিখরের মধ্যে রয়েছে। যেটা মানুষের কল্যাণের জন্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভোটের রাজনীতির ক্ষেত্রে বলাই বাহুল্য।