হোম খুলনামাগুরা মহম্মদপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি:

মাগুরার মহম্মদপুরের নহাটা ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামে রিয়াজ মোল্যা (৩০) নামের এক যুবককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রাম্য দলাদলির জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ফুলবাড়ি সদোনালা খালের পাড় থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মঙ্গলবার রাত তিনটার সময় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দিয়ে চলে যান জসিম নামের জনৈক ব্যক্তি। বুধবার সকাল সাতটার সময় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

এ ঘটনাটিকে ঘিরে স্থানীয় দুইপক্ষের লোকজন পরস্পর বিরোধী কথা বলছেন। নিহতের পরিবারের দাবি তাদের ছেলেকে পরিকল্পিভাবে হত্যা করা হয়েছে। অন্যপক্ষ বলছে-সদোনালা খাল থেকে রাতে চুরি করে মাছ মারার সময় রিয়াজ মোল্যাকে গণপিটুনি দেওয়ার কারণে তিনি মারা গেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাগুরার মর্গে প্রেরণ করেছে।

স্থানীয় বাশি মিয়া জানান, ফুলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ও নহটাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমান তুরাপ এবং একই গ্রামের জিল্লুর রহমান গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। পূর্ববিরোধের জেরে রিয়াজকে হত্যা করা হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। নিহত রিয়াজ ওই গ্রামের জিল্লুর রহমান গ্রুপের সমর্থক ছিলেন। তবে অপর মহল বলছেন- সদোনালা খাল থেকে চুরি করে মাছ ধরার সময় গ্রামবাসী তাতে গণপিটুণি দেয়। পরে হাসাপাতালে মারা যান।

নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমান তুরাপ বলেন, গ্রাম্যভাবে জিল্লুর রহমান আমাদের প্রতিপক্ষ। তবে গ্রাম্য দলাদলির কারণে খুনের ঘটনা ঘটেনি বলে তার দাবি। চুরি করে মাছ ধরার সময় গণপিটুণির কারণে রিয়াজ মারা গেছে। তবে জিল্লুর রহমান এটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলেই দাবি করছেন। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে সদোনালা খালের নৈহ প্রহরী জসিমের কাছে। সেই বলতে পারবে মঙ্গলবার রাতে রিয়াজকে কারা এবং কেনো মেরেছিলো। জসিমের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। নিহত রিয়াজের পিতা নিজাম উদ্দীন বলেন, আমার ছেলেকে প্রতিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উল ইসলাম বলেন, ‘চুরি করে খাল থেকে মাছ চুরির সময় পাহারাদার ও তাদের লোকজন রিয়াজকে মারধোরের কারণে তারা মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’ তবে মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন