হোম অন্যান্যসারাদেশ মনিরামপুরে কঠোর লকডাউনে ও থামছে না বাজারে মানুষের স্রোত,সচেতনতায় মাঠে উপজেলা প্রশাসন সহ পৌর মেয়র

মনিরামপুর(যশোর)প্রতিনিধি:

মনিরামপুর কঠোর লকডাউনে ও থামছে না মানুষের স্রোত। বাজারে বিশেষ করে মহিলাদের সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।তাই করোনা সংক্রমণ রোধে এবং এর ভয়াবহতা বর্ননা করতে ও সরকারি বিধি-নিষেধ মানতে মাঠে নেমেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর পিতা কাজী মাহমুদুল হাসান সহ সহকারী কমিশনার ভূমি হরে কৃষ্ঞ অধিকারী সুমন,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু ও প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক আহম্মেদ লিটন ।

রবিবার সকাল ১১টা থেকে থানার ওসি ,উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর কাউন্সিলদের সাথে নিয়ে জনচতেনতা সৃষ্টিতে পৌরশহরের বিভিন্ন স্থানে জনসংযোগ করেন। এসময় ব্যবসায়ী, পথচারীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলেন। করোনার ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরে তাদেরকে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ করেন।

এদিন ১১টা থেকে দুপুর অবধি পৌর শহরের প্রধান প্রধান বাজারে জনসংযোগসহ পুলিশি চেক পোস্টে গিয়ে বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে আসা নানা শ্রেণি-পেশার জনতাকে দাড় করিয়ে করোনার ভয়াভহতা সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

এদিকে উপজেলার ২৪শ’ ৮৯ জনের করোনা নমুনা পরীক্ষায় ৮শ’২২ জন সনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শুভ্রারানী দেবনাথ। করোনা রোগীর মধ্যে চিকিৎসাধীন আছেন ১শ’১৩ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ৯ জন এবং বাড়িতে ১০৪ জন চিকিৎসাধীন আছেন।

অপরদিকে সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজ গ্রহন করেছেন ৩৬৯০ জন। এর আগে অক্সফোর্ডের টিকা ১৬ হাজান জন গ্রহন করেছেন। তবে আশার কথা হচ্ছে টিকা নিতে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে।দীর্ঘক্ষন লাইনে দাড়িয়ে থেকে টিকা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

এদিকে সরকারী সূত্রে জানা গেছে আগামী ৮ই আগষ্ট থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে টিকার ক্যাম্পেইন চলবে।সরকার প্রতি মাসে এক কোটি ডোজ টিকা দেবার পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। এদিকে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, উপজেলার গ্রামাঞ্চলের মানুষ সরকারি নিদেশনা মানছেন না।

পৌরশহরের কাঁচা বাজার, মাছ বাজারসহ মুদি দোকান সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত খোলার নির্দেশনা থাকলেও সিংহ ভাগ ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটি সার্টারের তালা খুলে রেখে বন্ধের ভাব দেখিয়ে মালিক/কর্মচারী বাইরে দাড়িয়ে থেকে প্রশাসনকে ধোকা দিচ্ছে। ক্রেতা আসলেই সার্টার উচু করে ভিতরে নিয়ে ফের বন্ধ করে ক্রেতার ইচ্ছা অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।

উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের হাটাবাজার ও মোড়ের অবস্থা আরও নাজুক। সেখানে লকডাউনের কিছইু মানা হচ্ছে না। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে মোড়ের চায়ের দোকানে চলছে জম জমাট আড্ডা। পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, করোনার ভয়াবহতা তুলে ধরে সর্বস্তরের মানুষকে ঘরে রাখতেই এ জনসংযোগ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার , কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধূরী সহ বিপুল পরিমান পুলিশ সদস্য।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন