মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
মণিরামপুরে নির্মানাধীন সড়কে বালি ফেলাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার শয়লা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতরা হলেন স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বিল্লাল হোসেন (৪২), আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হালিম (৪১), পথচারী লিয়াকত হোসেন, এলাহি বক্স। আহতদের মধ্যে বিল্লাল হোসেন ও আব্দুল হালিমকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আবুল বাশার ভুট্টো জানান, শয়লা-রসুল বাজারের নির্মানাধীন সড়কে তারা বালি দেয়ার সাব কন্ট্রাকের কাজ পান। সড়কে বালি দেয়াকালে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান, যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন তাদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ১৬ এপ্রিল শুক্রবার সাবকন্ট্রাকটার চন্টা, আব্দুল্লাহ, বাপ্পী, মিন্টুকে মারপিটসহ স্কেভেটর মেশিন ও ৪ টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এরই জের ধরে রোববার র যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে আব্দুস সামাদ, পারভেজ, মোস্তাক মিলে তার ছেলে রেজাউর রহমানকে মারপিট করে। এ ঘটনায় তিনি রোববার বিকেলে থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিন সন্ধ্যায় তার ভাই আব্দুল হালিমকে মারপিট করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান দাবি করেন, ভুট্টো, চন্টা মিলে নির্মানাধীন সড়কে বালির পরিবর্তে মাটি দিলে স্থানীয় জনগণ বাঁধা দেয়। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলামকে মারপিট করে। ঘটনার দিন তিনিসহ যুবলীগের নেতা-কর্মীরা শয়লা বাজারে গেলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়। এতে যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে বিল্লাল হোসেন কেশবপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে শয়লা বাজারে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। ঘটনার এলাকায় সংঘর্ষ এড়াতে রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শাহাজান আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ টহলে রয়েছে। তবে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।